ভাল ড্রাম বাজিয়েছে, নাবালকের মুখে একতাড়া নোট গুঁজে দিলেন ডেপুটি স্পিকার(দেখুন ভিডিও)

বোনালু উৎসবে ড্রাম বাজিয়ে একতাড়া নোট বখশিস পেল এক নাবালক। তবে বখশিসের ধরণ নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নাবালক যখন মনের আনন্দে ড্রাম বাজিয়ে চলেছে তখন আচমকাই তার মুখে ৫০০ টাকার বেশ কয়েকটি নোট গুঁজে দেন তেলেঙ্গানার ডেপুটি স্পিকার পদ্মা রাও গৌড়।

পদ্মারাও গৌড়( Photo Credit: ANI Twitter)

সেকেন্দ্রাবাদ, ৩১ জুলাই: বোনালু উৎসবে ড্রাম বাজিয়ে একতাড়া নোট বখশিস পেল এক নাবালক। তবে বখশিসের ধরণ নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নাবালক যখন মনের আনন্দে ড্রাম বাজিয়ে চলেছে তখন আচমকাই তার মুখে ৫০০ টাকার বেশ কয়েকটি নোট গুঁজে দেন তেলেঙ্গানার ডেপুটি স্পিকার পদ্মা রাও গৌড় (Padma Rao Goud)। এহেন ঘটনায় সচরাচর দেখা যায় না। তাই উৎসবে হাজির অনেকেই ঘটনাদৃশ্যকে মোবাইল বন্দি করেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা পদ্মা রাওয়ের কর্মকাণ্ডে বেজায় চটেছে, কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে সমালোচনা। আরও পড়ুন-ইন্টারনেটে গাঁজা কিনছেন মার্ভেলের সুপার হিরো থর? ভাইরাল সচিত্র পরিচয়পত্র

তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই নয় পদ্মা রাওয়ের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে মুখে নোট গুঁজে দেওয়ায় বাচ্চা ছেলেটির দমবন্ধও হয়ে যেতে পারত। ওঁর যখন ওই নাবালকের ড্রাম বাজানো ভাল লেগেছে। তখন তো সুস্থভাবে টাকাটা তাকে পুরস্কার স্বরূপ দিতেই বারতেন। ড্রাম বাজানো শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেই তাঁর উদ্দেশ্য সাধন হত। কিন্তু তিনি সেসব না করে ড্রাম বাজাতে থাকা বাচ্চাটির মুখে টাকা গুঁজে দিলেন। এটা অন্যায় করেছেন। তিনি তো টাকাটি পকেটে বা বাচ্চাটির হাতে দিতে পারতেন।

তবে সমালোচনা শুনে দমে যাওয়ার পাত্র নন পদ্মা রাও গৌড়। তাঁর মতে কোনও ভুল কাজই তিনি করেননি। সেকেন্দ্রাবাদের বিধায়কের দাবি, বাচ্চাটি ভাল ড্রাম বাজাচ্ছিল তাই তাকে পুরস্কার হিসেবে ওই টাকা দিয়েছি। “আমি যদি টাকা পুড়িয়ে দিতাম, বা নষ্ট করে দিতাম, তাহলে আমি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করতাম। একটি বাচ্চাকে টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা কি অপরাধ? আমি তিন-চার বার তার মুখে টাকা গুঁজে দিয়েছি। এটা তেলঙ্গনার একটা সংস্কৃতি। ভারতীয় সমাজে তো বিয়ের সময়ে তো টাকা দেয়। আমি শুধু বাচ্চাটিকে পুরস্কার দিতে চেয়েছি। এতে এত সমালোচনার কিছু নেই।” বলা বাহুল্য, তিনি বুঝতেই চাইছেন না যে টাকা মুখে গুঁজে দেওয়াটা কোনও সুস্থসংস্কৃতির লক্ষণ নয়। তাছাড়া বাচ্চাটি যে অসুস্থ হেয় পড়ত তাও মানতে নারাজ ডেপুটি স্পিকার। শুধু তাই নয়, এভাবে লোক সমক্ষে বাচ্চাটির মুখে টাকা দিয়ে তিনি তার প্রতিভাকেই অসম্মান করেছেন। আজ যদি এই ড্রাম বাজানোর অনুষ্টানটি কোনও জাতীয় মঞ্চে হত, তাহলে কি তিনি ওভাবে মুখের মধ্যে টাকা গুঁজে দিতে পারতেন? প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনরা।