ENG vs SL 1st Test Result: জো রুটের ইনিংসেই ম্যানচেস্টারে শ্রীলঙ্কা বধ ইংল্যান্ডের
ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রান করে এবং ইংল্যান্ড করে ৩৫৮ রান এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা করে ৩২৬ রান এবং ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে জয় লাভ করে।
England National Cricket Team vs Sri Lanka National Cricket Team, 1st Test Result: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের প্রথম টেস্টে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে কঠিন জয় এনে দেন জো রুট (Joe Root)। ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথের উল্লেখযোগ্য অবদানের আগে ইংল্যান্ড হোঁচট খায় এবং রুট (৬২*) এসে শেষ পর্যন্ত জয় এনে দেন। দিনের শুরুতে কামিন্দু মেন্ডিসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর আয়োজকদের জয় নিয়ে কিছুটা সন্দেহ ছিল। তবে টালমাটাল দিনে শেষ পর্যন্ত সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ঊরুর চোটের কারণে বোলিং করতে না পারা মার্ক উডের অনুপস্থিতিতে সকালের সেশনে পার্টনারশিপ ভাঙতে হিমশিম খায় ইংল্যান্ড। কামিন্দু এবং চান্দিমাল হোম সাইডকে হতাশ করতে পুরো সেশন জুড়ে ব্যাটিং করেছিলেন। এই সময় কামিন্দু ইংল্যান্ডের মাটিতে সেঞ্চুরি করা প্রথম শ্রীলঙ্কান ব্যাটার হয়েছেন। Mark Wood Injured: ইংল্যান্ড শিবিরে বড় ধাক্কা, চোটের কারণে ছিটকে গেলেন মার্ক উড
কামিন্দু ক্রিস ওকসের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ শুরু করেন, চান্দিমাল গাস অ্যাটকিনসনকে কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে লিড ১০০ পার করান। উভয় প্রান্তে বোলিং পরিবর্তন সত্ত্বেও রানের গতি অব্যাহত থাকে, এমনকি বৃষ্টির বিরতিও দুজনের জুটি ভাঙ্গতে পারেনি। ফলে নতুন বলের জন্য মরিয়া ইংল্যান্ড আয়োজকদের নতুন বল নিলে কামিন্দু বাউন্ডারি মেরে তার চতুর্থ ম্যাচে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করেন, অন্য প্রান্তে চান্দিমাল পঞ্চাশ পেরিয়ে যান। কামিন্দু যখন আউট হন তখন শ্রীলঙ্কার লিড ২০০ ছাড়িয়ে গেছে কিন্তু এরপর বাকি উইকেট দ্রুত পড়তে থাকে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় ইংল্যান্ডের, প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই ৩৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। এরপরে আসিথা ফার্নান্দো শ্রীলঙ্কার পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেন বেন ডাকেটকে ফিরিয়ে, এর পরেই প্রবাথ জয়াসুরিয়া অলি পোপকে আউট করেন। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগে মিলান রথনায়েকে ড্যান লরেন্সকে লেগ বিফোর উইকেটে ফাঁদে ফেললে ইংল্যান্ডের স্কোর ৭০/৩ হয়ে যায়। চা-বিরতির পর জয়সুরিয়া এক প্রান্তে অবিচল ছিলেন, অন্যদিকে সিমাররা ব্রেকথ্রুর সন্ধানে ছিলেন। অবশেষে ব্রুক প্রবাথকে ৩২ রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলে ইংল্যান্ডের তখনও প্রয়োজন ৮৬ রান।
এরপর সতর্কভাবে খেলা শুরু করেন জেমি স্মিথ, অবশেষে জয়সুরিয়ার বলে পরপর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আত্মবিশ্বাস পেলেও পরের ওভারে আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। আত্মবিশ্বাস বাড়ার সাথে সাথে স্মিথ জয়সুরিয়াকে ছক্কা মেরে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য রানের ব্যবধান ৫০ এরও কমে নিয়ে আসে। তবে হাফসেঞ্চুরিয়ান রুট অন্য প্রান্তে থাকায় আতঙ্কিত হয়নি ইংল্যান্ড। ওকস আদর্শ ব্যাটসম্যান হিসেবে সিঙ্গেল নিয়ে রুটকে সাহায্য করতে থাকেন। শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা অনেকবার দুজনকেই ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন ফলে রানের গতি কমে যায় কিন্তু অবশেষে ৫ উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড।