China Debt Crisis: ঋণের ফাঁদে অন্যদের ফেলতে গিয়ে নিজেই বিপদে চিন! চিন্তা বাড়ছে ড্রাগনের
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনের দেওয়া এক ট্রিলিয়ন টাকা বর্তমানে ফেঁসে রয়েছে এই চক্করে। এর মধ্যে গত তিন বছরেই বকেয়া পড়েছে ৭৮ বিলিয়ন টাকা।
বেজিং: প্রাচীন প্রবাদ অনুযায়ী, অন্যকে বিপদে ফেলার জন্য গর্ত খুঁড়লে বেশিরভাগ সময় তাতে নিজেকেই পড়তে হয়। সম্প্রতি এই বিষয়টি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন চিনের তথাকথিত কমিউনিস্ট শাসকরা। বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করার নামে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বেশি মুনাফা কামানোর ছক ছিল বেজিংয়ের। কিন্তু, সেই ছক যে সম্পূর্ণ বদলে যাবে। অন্যদের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজের পশ্চাৎদেশেই আছোঁলা বাঁশ ঢুকবে তা মনে হয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ড্রাগনরা। তবে এবার অন্যদের ঋণের ফাঁদে ফেলে নিজেদের ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা বানচাল হয়েছে চিনের (Chin)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বেজিং নাকি তাদের ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি ও পরিকাঠামোয় বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনছে বলে জানা গেছে।
সর্বভারতীয় একটি বহুল পরিচিত সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান ঋণ শোধ করতে না পারার জন্য ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের তরফে থেকে দেউলিয়া হিসেবে ঘোষণা হতে আর কয়েক ইঞ্চি দূরে আছে। অন্যদিকে চিনের থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে গত বছরই দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
পরিসংখ্যান খুলে দেখা যাচ্ছে, চিনের থেকে পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো থেকে একাধিক দেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড তৈরির জন্য ঋণ নিয়েছিল মূলত তারাই সবথেকে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনের দেওয়া এক ট্রিলিয়ন টাকা বর্তমানে ফেঁসে রয়েছে এই চক্করে। এর মধ্যে গত তিন বছরেই বকেয়া পড়েছে ৭৮ বিলিয়ন টাকা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মিশর, নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, পাকিস্তান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, জাম্বিয়া, ঘানা, আলজেরিয়া এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো-সহ দেশগুলিতে সবথেকে বেশি ঋণ দিয়েছে চিন। আরও পড়ুন: