Kangana Ranaut Mandi Lok Sabha: শনিবার শেষ দফায় ভাগ্য পরীক্ষা কঙ্গনার, মান্ডিতে জিতে সাংসদ হতে পারবেন কুইন?
গত ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মান্ডি থেকে জিতেছিলেন বিজেপি-র রাম স্বরূপ শর্মা। তাঁর মৃত্যুর পর ২০২১ উপনির্বাচনে জিতে মান্ডি দখলে নেয় কংগ্রেস।
পার্থ প্রতিম চন্দ্র: হেমা মালিনী-র পথ ধরে কি এবার বলিউউের তারকা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াত (Kangana Ranaut) সাংসদ হতে পারবেন? উত্তরটা জানা যাবে আর কটা দিন পরেই। নিজেকে নরেন্দ্র মোদীর বড় ভক্ত পরিচয় দিয়ে তাঁর স্তুতিতে অনেক কথাই বলেছেন কঙ্গনা। তার পুরস্কারে বলিউডের কুইন-কে এবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা (Mandi Lok Sabha) থেকে কঙ্গনাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। আগামী পয়লা জুন, শনিবার মান্ডিতে নির্বাচন। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলের মেয়ে কঙ্গনা সংসদে জেতে কোমর বেঁধে প্রচার করছেন। ভোট প্রচারে বেরিয়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসার সুর অত্যধিক চড়াতে গিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন। প্রচারে কিছু বেঁফাস মন্তব্যের পর কঙ্গনাকে এখনও রাজনীতিতে বেশ নতুন বলেই মনে হচ্ছে। স্থানীয়দের থেকে কালো পতাকাও দেখিয়েছেন কঙ্গনা। কিন্তু এবার তিনি জিতবেনই বলে জানিয়েছেন অনুরাগ বসুর 'গ্যাংস্টার' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা দেওয়া অভিনেত্রী।
কংগ্রেস এবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে তথা মান্ডির যুবরাজ হিসেবে পরিচিত বিক্রমাদিত্য সিং (Vikramaditya Singh)-কে। তিন বছর আগে মান্ডি লোকসভার উপনির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে জিতেছিলেন কঙ্গনার প্রতিপক্ষ বিক্রমাদিত্য-র মা প্রতিভা সিং। গত ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মান্ডি থেকে জিতেছিলেন বিজেপি-র রাম স্বরূপ শর্মা। তাঁর মৃত্যুর পর ২০২১ উপনির্বাচনে জিতে মান্ডি দখলে নেয় কংগ্রেস। কঙ্গনার কাঁধে এখন বিজেপি-র মান্ডি পুনরুদ্ধার লড়াই। আর সেখানে মান্ডি ধরে রাখতে কংগ্রেসের বাজি সিমলার বিধায়ক বিক্রমাদিত্য।
মান্ডিতে কঙ্গনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দলের সংগঠন। এই লোকসভার যে ১৭টি বিধানসভা আছে তার মধ্যে ১৩টি-ই বিজেপির দখলে। তার মধ্যে আবার মোদী ফ্যাক্টারও কঙ্গনার পক্ষে যাচ্ছে। কংগ্রেসের কোন্দলটাও কঙ্গনার জয়ের এক্স ফ্যাক্টার হতে পারে। কিন্তু তারপরেও কঙ্গনার জয়ের কাজটা বেশ কঠিন দেখাচ্ছে কিছু কারণে-তার সবচেয়ে বড় কারণ মান্ডিতে রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-য়ের ব্যক্তি ক্যারিশ্মা। বীরভদ্র-র স্ত্রী প্রতিভা যেভাবে গত উপ নির্বাচনে জিতেছিলেন তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। বীরভদ্র-র থেলে বিক্রমাদিত্য-র প্রচারেও ভাল ভিড় হচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা লাহুল-স্পিতি, নাচান, কারসোগ, বানজার-এর মত জায়গায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এখন দেখার কী হয়। সব উত্তর জানা যাবে ৪ জুন।