National Lists of Essential Medicines: প্রকাশ পেল অত্যাবশ্যক ওষুধের জাতীয় তালিকা, তালিকায় থাকা ৩৮৪টি ওষুধের মধ্যে ৩৪টিই নতুন

মানুষ যাতে ব্যয়সাশ্রয়ী মূল্যেভালো ওষুধ পান, এই তালিকা তা নিশ্চিত করে। তালিকায় থাকা ৩৮৪টি ওষুধের মধ্যে ৩৪টিই নতুন। গত বছরের তালিকা থেকে ২৬টি ওষুধকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

‘সবার জন্য ওষুধ, সস্তা ওষুধ’ – এই ভাবনায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্বল্প মূল্যে ভালো মানের ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য আজ অত্যাবশ্যক ওষুধের জাতীয় তালিকা প্রকাশ করেছেন। মানুষ যাতে ব্যয়সাশ্রয়ী মূল্যেভালো ওষুধ পান, এই তালিকা তা নিশ্চিত করে।

তালিকায় থাকা ৩৮৪টি ওষুধের মধ্যে ৩৪টিই নতুন। গত বছরের তালিকা থেকে ২৬টি ওষুধকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদিত দেশে জনস্বাস্থ্য সমস্যার নিরসনে যে ওষুধগুলি কার্যকর সেগুলিকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের মাধ্যমে যে ওষুধগুলির ব্যবহার নিরাপদ সেগুলিকেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।  এছাড়াও বর্তমান চিকিৎসা বিধি মেনে জাতীয়স্বাস্থ্য কর্মসূচির সুপারিশক্রমে থাকা ওষুধগুলিকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোনো রোগ নিরাময়ের জন্য যদি একাধিক ওষুধ থাকে, তখন যেটি ভালো ওষুধ সেটিকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকাটি তৈরির সময় রোগ নিরাময়ে কত অর্থ ব্যয় হতে পারে,সেটি বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক স্তরে টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় থাকা টিকাগুলিকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তালিকা তৈরির সময় ওষুধের দাম, সেটি প্রয়োগ করলে কতটা কার্যকর হবে এবং নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করা হয়েছে। চিকিৎসার পদ্ধতি বিবেচনা করে এই তালিকাটিকে ২৭টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। এছাড়াও, এই তালিকার সাহায্যে ওষুধ সংগ্রহ নীতি, স্বাস্থ্য বীমা, রোগীকে ওষুধের বিষয়ে পরামর্শদান,স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ডাক্তারি পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের ওষুধ সম্পর্কে ধারণাদিতে সুবিধা হবে।

১৯৯৬ সালে অত্যাবশ্যক ওষুধের জাতীয়তালিকা প্রথম তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৩, ২০১১ এবং ২০১৮ সালে তালিকার সংশোধন করাহয়। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ওষুধের বিষয়ে জাতীয় স্তরে একটি স্বতন্ত্র স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করে। কমিটি সবদিক বিবেচনা করে যে রিপোর্ট জমা দেয়তার ওপর ভিত্তি করেই ২০২২ সালের অত্যাবশ্যক ওষুধের জাতীয় তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. ভারতীয় প্রবীণ পাওয়ার এই তালিকা তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেন। ডা. পাওয়ার বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা পর্যালোচনা করার পর শিক্ষাবিদ, শিল্প সংস্থাগুলির কর্ণধার এবং ওষুধ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

তালিকাটি দেখার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -https://cdsco.gov.in/opencms/opencms/system/modules/CDSCO.WEB/elements/download_file_division.jsp?num_id=OTAxMQ==

অত্যাবশ্যক ওষুধের জাতীয় তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ, ডিসিজিআই-এর ডা.ভি জি সোমানি সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now