Tripura CM Manik Saha: ত্রিপুরায় শপথ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার, উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এবার সামনে কী চ্যালেঞ্জ
আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সাহা। মানিক সাহা-র শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সাহা (Manik Saha)। মানিক সাহা-র শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের ৬০টি আসনের মধ্যে ৩২টি-তে জিতে একক সংখ্য়াগরিষ্ঠতা পেয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। টাউন রবদলুই কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন মানিক সাহা। ২০১৮ সালে প্রথমবার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। ২০২২ সালে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপি আনে মানিক সাহা-কে। দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলে, প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া সামলে দলকে ম্যাজিক ফিগার এনে দেওয়ায় মানিক সাহা-কেই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসালো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে এবার বিধানসভা ভোটে দাঁড় করান অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা-রা। নিজের কেন্দ্রে জিতে মুখ্যমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে ছিলেন প্রতিমা ভৌমিকও। কিন্তু শেষ অবধি মানিক বনাম প্রতিমা লড়াইয়ে প্রথম জনকেই বেছে নেন শাহ, নাড্ডারা। কারণ মানিক সাহা যেভাবে দলের সব স্তরের কর্মীদের নিয়ে দলকে জিতিয়ে আনলেন। আরও পড়ুন-দু মাসের শিশু সন্তানকে কোলে বিধানসভায় হাজির বিধায়ক মা
ত্রিপুরায় এবার বিজেপি-র সরকারে ফেরার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ ঠিক সময়ে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে আনা। নির্বাচনের আট মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে মানিক সাহাকে এনে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলে দেয় পদ্ম শিবির। তিপরা মোথার সঙ্গে বিরোধীদের জোট না হওয়াটা শেষ অবধি বড় মুখরক্ষা হয় বিজেপির। বিরোধী ভোট ভাগ না হলে অন্তত সাত-আটটা আসনে হারতে হত বিজেপি-কে। শেষ অবধি অবশ্য কোথাও তিপরা মোথা কাটা বাম-কংগ্রেসের ভোট, কোথাও আবার হয় উল্টোটা। সুফল ঘরে তোলে বিজেপি। বাম-কংগ্রেসের জোট অনেকটা দেরীতে হওয়াতে সুবিধা হয় বিজেপির। তবে মানিক সাহার আসল চ্য়ালেঞ্জ হল মন্ত্রিসভায় ঠিকমত হিসেব করা জায়গা দেওয়া। সব বিধায়কদের নিয়ে চলা। ত্রিপুরায় ২০১৯-২২ এর মধ্যে পাঁচজন বিধায়ককে হারায় পদ্মশিবির। এবার সেরকম কিছু হলে মুশকিল। কারণ একবারে কান ঘেঁষে মিলেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
এক নজরে ত্রিপুরার ফল
মোট আসন: ৬০
বিজেপি: ৩২
তিপরা মোথা: ১৩
সিপিএম: ১১
কংগ্রেস: ৩
আইপিএফটি: ১