‘উপত্যকায় ফোন ইন্টারনেটের সুযোগ নেয় পাকিস্তানি ও জঙ্গিরা’, কী বললেন কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক?

উপত্যকায় ফোন ও ইন্টারনেট সব থেকে বেশি ব্যবহার করে পাকিস্তানিরা ও জঙ্গিরা। সেই তুলনায় বাসিন্দাদের সিকি ভাগ এই ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবার (Mobile Internet Service) সুযোগকে কাজে লাগায়। ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপকে কেন্দ্র করে অশান্ত হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। তাই আগেভাগেই ভূস্বর্গে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র।

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক(Photo Credit: IANS)

শ্রীনগর, ২৮ আগস্ট:  উপত্যকায় ফোন ও ইন্টারনেট সব থেকে বেশি ব্যবহার করে পাকিস্তানিরা ও জঙ্গিরা। সেই তুলনায় বাসিন্দাদের সিকি ভাগ এই ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবার (Mobile Internet Service) সুযোগকে কাজে লাগায়। ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপকে কেন্দ্র করে অশান্ত হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। তাই আগেভাগেই ভূস্বর্গে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। এই ঘটনার পর ২৪টা দিন কেটেছে। এতদিন পর উপত্যকায় যোগাযোগ বন্ধ প্রসঙ্গে মুখ খুলে বুধবার শ্রীনগরে এমনটাই বললেন সেখানকার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Governor Satya Pal Malik) ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের থেকে উপত্যকায় ফোন ও ইন্টারনেটের সুযোগ অনেক বেশি নেয় পাকিস্তানিরা (Pakistani) ও জঙ্গিরা (Terrorists)। তারা এর মাধ্যমে উপত্যকার আমজনতাকে ভুল বুঝিয়ে জঙ্গিবাদে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে জঙ্গিরা যাতে এই ফোন ও ইন্টারনেটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সেকারণেই সমস্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সেই ব্ল্যাক আউটের সময়টা কেটে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কুপওয়ারা ও হান্ডওয়ারা জেলায় মোবাইল ফোনের পরিষেবা চালু হয়েছে। খুব শিগগির ভূস্বর্গের অন্যান্য জেলাতেও মোবাইল ফোনের পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।’ আরও পড়ুন-কাশ্মীর ইস্যু: ৩৭০ ধারাকে চ্যালেঞ্জের ১৪টি মামলা অক্টোবরে শুনবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ, সীতারাম ইয়েচুরিকে ভূ স্বর্গে যাওয়ার অনুমতি শীর্ষ আদালতের

তবে গত ২৪ দিনে উপত্যকায় সেনার প্রভাবে বাসিন্দাদের কোনওরকম ক্ষতির কথা রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক মানতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘এই কয়েক দিনে উপত্যকায় কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটেনি। সেনা পুলিশের হাতে কারওর কোনও প্রাণহানি বা আহত হওয়ার ঘটনা নেই। যে কয়েকজন আন্দোলন করে পরিবেশকে অশান্ত করতে চেয়েছিলেন, তাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন মাত্র। আমাদের কাছে প্রত্যেক কাশ্মীরির জীবন মূল্যবান। একটি প্রাণও ঝরে যাক, আমরা চাই না। খুব শিগগির জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনে ৫০ হাজার নিয়োগের ব্যবস্থা হবে। উপত্যকার যুব সমাজকে আহ্বান করছি নিয়োগ পাওয়ার জন্য যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। আগামী দুতিন মাসের মধ্যেই এই চাকরির সুযোগ আসবে। ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার ফলে কাশ্মীরে উন্নয়নের জোয়ার আসছে, ভারতের সহ্গে উপত্যকা একাত্ম হয়ে গিয়েছে। ছমাসের মধ্যেই দেখবেন ভূস্বর্গের অর্থনৈতিক চেহারাই বদলে গিয়েছে।’