গুরুড় গঙ্গার এক কাপ জল খেলে গর্ভবতী মহিলার এড়াতে পারেন সিজার, পাথর স্পর্শেই সেরে যায় সর্পদংশন, দাবি বিজেপি সাংসদ অজয় ভাটের

উত্তরাখণ্ডের বদ্রিনাথে প্রবেশদ্বার কুমাওয়ের ভাগেশ্বরের নদীর নাম- গুরুড় গঙ্গা (Garuda Ganga)। এই গুরুড় গঙ্গার মাহাত্ম্যের কথা বলতে গিয়ে লোকসভায় উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি-র প্রধান অজয় ভাট অবাক করা সব কথা বললেন।

বিজেপি সাংসদ অজয় ভাট। (Photo Credits: Twitter)

নয়া দিল্লি, ২০ জুলাই: উত্তরাখণ্ডের বদ্রিনাথে প্রবেশদ্বার গুরুড় গঙ্গা (Garuda Ganga)-কে নিয়ে লোকসভায় চমকপ্রদ দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ অজয় ভাট (Ajay Bhatt)। কুমাওয়ের ভাগেশ্বরের এই গুরুড় গঙ্গার মাহাত্ম্যের কথা বলতে গিয়ে লোকসভায় উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি-র প্রধান অজয় ভাট অবাক করা সব কথা বললেন। গুরুড় গঙ্গা নিয়ে অনেক মিথ চালু আছে। তবে সেসব মিথকে একেবারে লোকসভায় ফলাও করে বললেন বিজেপি সাংসদ। বিজেপি-র হাইপ্রোফাইল এই নেতা বললেন, গারুদা গঙ্গার এক কাপ জল পান করলেই গর্ভবতী মহিলাদের পেটে ব্যথা কমে যায়।

পাশাপাশি এই নদীর জলে এমন কিছু আছে যা গর্ভবতী মহিলাদের পেটে গেলে সিজার এড়িয়ে সাধারণভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন। আরও পড়ুন-মটন নয়, চোখেধুলো দিয়ে রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে 'ডগ বিরিয়ানি'

তবে সিজার এড়াতে হলে গর্ভবতী মহিলাদের শুধু গুরুড় গঙ্গার জল পান করলে চলবে না, সঙ্গে ওই নদীর পাথরও জলে ঘষতে হবে। এমন কথাই বললেন উত্তরাখণ্ডে বিজেপি প্রধান অজয় ভাট। এই কথাগুলো যখন লোকসভা বলছিলেন, তখন হোমিওপ্যাথি বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল। গরুড় গঙ্গার জল যদি গর্ভবতী মহিলারা পান করেন, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিজারের আর প্রয়োজনই পড়বে না।

এ তো গেল নদীর জলের মাহাত্ম্য, এরপর বিজেপি সাংসদ শুরু করেন গুরুড় গঙ্গার পাথরের কথা। অজয় ভাট এরপর বলেন, গরুড় গঙ্গার পাথর যদি কোনও সাপ কাটে ব্যক্তির ক্ষতস্থানে স্পর্শ করা হয় তাহলে তা সেরে যাবে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তিনি এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন বলেও দাবি উত্তরাখণ্ডের বিজেপি প্রধান অজয় ভাটের।

এখানেই শেষ নয় অজয় ভাটের দাবি, যেখানে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যানে বসেছিলেন সেই কাকিদাঘাটে-র বাসিন্দার এক পরিবার সাপের ভয়ে ঘরে থাকতে পারছিলেন না। এরপর নাকি এক সাধু গুরুড় নদী থেকে পাথর এনে দেন সেই ব্যক্তিকে। ব্যক্তিটি সেই পাথর তাঁর ঘরে রাখতেই, এক সপ্তাহের মধ্যে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। যিনি এই কথাগুলো বললেন, সেই অজয় ভাট একটা সময় উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। অজয় ভাট মনে করেন আধুনিক চিকিতসাশাস্ত্রকে রীতিমত চ্য়ালেঞ্জে ফেলে দিতে পারে প্রাচীন চিকিতসাপদ্ধতি। যে চিকিতসা পদ্ধতির মধ্যে এই গরুড় নদীর জলও সামিল আছে।