অসমে গণপিটুনিতে মৃত্যু চিকিৎসক দেবেন দত্তের, প্রতিবাদে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার চিকিৎসা পরিষেবা ধর্মঘটে আইএমএ
এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে না হতেই হিংসার ঘটনায় তোলপাড় অসম। মরণ পণ করে একদিন যাঁদের নিজের রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছিলেন। এখন সেই মানুষগুলোই কিনা তাঁকে তিলে তিলে মারল। হ্যাঁ, এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে অসমের যোরহাট জগদুয়ার এলাকায়। সেখানকার টিওক চা বাগানে রোগী দেখতে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবেন দত্তের (Assam doctor Deven Dutta)। যাদের জন্ম দিতে নিজে এদিন শুধু চিকিৎসাই নয় রক্তও দিয়েছিলেন। সেই তারাই তাঁকে শনিবার পিটিয়ে মারল।
যোরহাট, ৩ সেপ্টেম্বর: এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে না হতেই হিংসার ঘটনায় তোলপাড় অসম। মরণ পণ করে একদিন যাঁদের নিজের রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছিলেন। এখন সেই মানুষগুলোই কিনা তাঁকে তিলে তিলে মারল। হ্যাঁ, এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে অসমের যোরহাট জগদুয়ার এলাকায়। সেখানকার টিওক চা বাগানে রোগী দেখতে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবেন দত্তের (Assam doctor Deven Dutta)। যাদের জন্ম দিতে নিজে এদিন শুধু চিকিৎসাই নয় রক্তও দিয়েছিলেন। সেই তারাই তাঁকে শনিবার পিটিয়ে মারল। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) অসম শাখা ও অসম ফার্মাসিস্ট সংগঠন (AMSA) মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আজ আইএমএ-র প্রতিনিধিদল যোরহাটে আসছে।
বাবার এহেন পরিণতিতে দিশেহারা মেয়ে ক্রিস্টিনা, ছেলে মঞ্জিল। ৩১ অগস্ট চা শ্রমিকদের হাতে নিহত দেবেনবাবুর মেয়ে জানান, বাবা ১৯৭২ সালে টিওক চা বাগানে যোগ দেন। পরে বিভিন্ন বাগানে কাজ করলেও মন পড়ে ছিল টিওকেই। ২০০৫ সালে অবসর নেন। ২০১৪ সালে ফের টিওক চা বাগানে বিনা বেতনে রোগী দেখা শুরু করেন। ক্রিস্টিনা বলেন, ‘‘যারা শনিবার বাবাকে খুন করল, তাদের অনেকের জন্মই বাবার হাতে। নিজের রক্ত দিয়েও রোগীকে বাঁচিয়েছে বাবা। যে ভাবে শিরা কেটে বাবাকে মারা হয়েছে, তা পাকা হাত ছাড়া সম্ভব নয়।’’ ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করছে পরিবার। দ্রুত বিচার চান ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা জানান, জেলাশাসক অবিলম্বে ম্যাজিস্টেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আরও পড়ুন-এই এনআরসি-র প্রয়োজন নেই যেখানে প্রকৃত ভারতীয়রাই বাদ পড়েছেন, চূড়ান্ত তালিকায় হতাশ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
জানা গিয়েছে, কেউ ঘুসি মারছে। কেউ লাথি। কাচের একটা কোপ পড়ল ডান হাঁটুর পিছনটায়। বুঝতে পেরেছিলেন, বিপজ্জনক শিরা কেটে ফিনকি দিয় রক্ত বেরোচ্ছে। রক্ত বন্ধ করতে ব্যান্ডেজ চাইছিলেন। কেউ তা ছুড়ে ফেলে দিল। কাঁপতে কাঁপতে চাইছিলেন জল। রক্ত মুছতে চান তুলো। বদলে চলতে থাকে মার। জ্ঞান লোপ পাওয়ার আগে পর্যন্ত মুখগুলো দেখে বিস্ময় কাটছিল না টিওক চা বাগানের ডাক্তার দেবেন দত্তের। ছেলেগুলোর অনেকের জন্ম যে তাঁর হাতেই! এনআরসি যে ছবিটা এভাবে বদলে দিতে পারে, ভাবতেই পারছেন না দেবেনবাবুর পরিবারের সদস্যরা।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)