পাকিস্তানে জোর করে ধর্মান্তকরণ, শিখ কিশোরীকে অপহরণের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য পাঞ্জাবে
দিল্লি, ৩০ আগস্ট: এক শিখ ধর্মাবলম্বী কিশোরীকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে। খবর পেয়েই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, তিনি এই স্পর্শকাতর বিষয়টি দেখতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনুরোধ করেছেন। দোষীদের যেন গ্রেপ্তার করে কঠোর সাজা দেওয়া হয় সেজন্য ইমরানকে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি দিল্লির বিদেশ মন্ত্রকেরও কানে এসেছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর যাতে এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলেন, তার অনুরোধও জানিয়েছেন অমরিন্দর সিং।
অভিযোগ, নিখোঁজ ধর্মান্তরিত কিশোরীর নাম জগজিৎ কৌর। তাঁর বয়স ১৯ বছর। কয়েকদিন আগে নিজের বাড়ি থেকেই নিকোঁজ হয়ে যায় সে। কিশোরীর দাদা সুরিন্দর সিং জানিয়েছেন, তাঁর ছোটবোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। অনেক চেষ্টা করেও এই অপহরণ রোখা যায়নি। এর কয়েকদিন পর দেখা যায় লাহোরের নানকানা সাহিবে ওই কিশোরীকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তারপর এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের অনকেগুলি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই তা জগজিতের বাড়ির লোকজনদের নজরে পড়ে। এরপর কিশোরীর পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ জানান। থানায় অভিযোগ দায়েরের পরে পরেই সেই অপহরণকারী দুষ্কৃতীদলটি সুরিন্দর সিংয়ের বাড়িতে হানা দেয়। থানা থেকে যেন ভালভাবে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, তারই হুমকি দিতে দুষ্কৃতী দলফের বাড়িতে এসেছিল। এরপর বিষয়টি রাষ্ট্র হয়ে যেতেই প্রতিবেশী ভারতের নজরে আসে। তারপর ইমরান খানকে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালনের পরামর্শন দেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
সুরিন্দরের অভিযোগ, তাঁর বোনকে তুলে নিয়ে গিয়ে অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। যখন টানা অত্যাচারে কিশোরী নির্জীব তখনই তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণ শুনে বেজায় খেপেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরাত কৌর বাদল। তিনি বলেছেন, এটা একটা লজ্জাজনক ঘটনা। এই সমস্যাটিকে নিয়ে জোর আলোচনা সমালোচনা হতে চলেছে। খুব শিগগির এই সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে যথাবিধ পদক্ষেপও নেওয়া হবে। ইমরানের কানে যেসব বিরোধী রাজনৈতিক বন্ধুরা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে রয়েছেন তাঁদের বলছি, প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এই ধরনে নক্ক্যার জনক ঘটনার এবার ইতি টানুন।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)