বাধা কাটল, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এই পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে ‘গুমনামি’

পুজোর মুখে যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে তখন সৃজিতের মুখে ফিরল হাসি। দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ‘গুমনামি’-র মুক্তির পথের যাবতীয় কাঁটা সরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঠিকই ধরেছেন, দুগ্গা দুগ্গা বলে এই পুজোতেই সপরিবারে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘গুমনামি’ দেখে আসুন। বুধবার দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল ‘গুমনামি’-র মুক্তিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।

গুমনামি(Photo Credit: Facebook)

কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর: পুজোর মুখে যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে তখন সৃজিতের মুখে ফিরল হাসি। দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ‘গুমনামি’-র মুক্তির পথের যাবতীয় কাঁটা সরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঠিকই ধরেছেন, দুগ্গা দুগ্গা বলে এই পুজোতেই সপরিবারে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘গুমনামি’ দেখে আসুন। বুধবার দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট  জানিয়ে দিল ‘গুমনামি’-র মুক্তিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। শোনা যাচ্ছে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের কিছুটা আভাস রয়েছে এই ছবিতে। তাইতো টিজার মুক্তি পেতে না পেতেই সৃজিতবাবুর হাতে আইনি নোটিস ধরিয়ে দিলেন দেবব্রত রায় নামের এক ব্যক্তি। তিনি শ্যুটিং বন্ধের আবেদন জানিয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন। কথা না শুনলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

তবে সেসবে পাত্তা দেননি সৃজিতবাবু (Srijit Mukherji)। একদিন ট্রেলারও প্রকাশ হয়, সঙ্গে সঙ্গেই ছবি মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন দেবব্রত রায়। সৃজিত অনুরাগীদের মনে আশঙ্কার মেঘ দানা বাঁধে। এদিকে ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাই বুম্বাদার ভক্তমহলেও ছিল চিন্তা, তবে কলকাতা হাইকোর্টের এদিনের রায়ের পর সেই চিন্তার অবসান ঘটল। সেই জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতেই রায়দান করে এ দিন আদালতের তরফে জানানো হয়েছে যে, ‘গুমনামি’ রিলিজের ক্ষেত্রে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা বহাল নেই। কোনওরকম বাধা ছাড়াই মুক্তি পেতে পারে ছবি। এই ঘটনার আগে ‘গুমনামি’ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্র চন্দ্র বসুও। তিনিও ছবির পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। আরও পড়ুন-Dadasasheb Phalke Award: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হলেন অমিতাভ বচ্চন; ভারতীয় সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য বিগ বি পেলেন এই সম্মান

এদিকে দেবব্রত রায়ের অভিযোগ, ‘গুমনামি’ ছবিটিতে নেতাজিকে অত্যন্ত হাস্যকর ও ভুলভাবে দেখানো হয়েছে। এই ছবি দেখলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে মানুষের মনে ভুল ধারণা জন্মাবে। তাই তিনি ছবি বন্ধের আবেদন করে আদালতে যান। তাছাড়া গুমনামি বাবার সঙ্গে যে নেতাজির কোনও মিল নেই তা মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে যে যাই বলুক আশা করা যাচ্ছে মহত্মাগান্ধীর জন্মদিনেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘গুমনামি’। ইতিমধ্যেই ট্রেলরে পাশাপাশি ছবির একটি গানও মুক্তি পেয়েছে।