Serial Killer Charles Sobhraj Deports: সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠাল নেপাল সরকার
'বিকিনি কিলার'(Bikini Killer) ও 'দ্য সার্পেন্ট'(The Serpent) নামে পরিচিত শোভরাজ নেপালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার বিকেলে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
নেপাল, ২৩ ডিসেম্বর: নেপাল সরকার শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজকে (Charles Sobhraj) কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় অভিবাসন ছাড়পত্র পাওয়ার পর ফ্রান্সে ফেরত পাঠিয়েছে। 'বিকিনি কিলার'(Bikini Killer) ও 'দ্য সার্পেন্ট'(The Serpent) নামে পরিচিত শোভরাজ নেপালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার বিকেলে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার বিভিন্ন কারণে শোভরাজকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সন্ধ্যায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ( Tribhuvan International Airport) তাকে ফেরত পাঠানোর সময় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। আরও ১০ বছর নেপালে ফিরতে না পারার শর্তে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপালের অভিবাসন বিভাগ। Shooting In Central Paris Video: হঠাৎ প্যারিসের রাস্তায় গুলি, আহত বেশ কয়েকজন, দেখুন ভিডিয়ো
বৈধ পাসপোর্ট না থাকায় তার নির্বাসনের আগে সরকার একটি ভ্রমণ নথি জারি করেছিল। শোভরাজ কাতার এয়ারলাইন্সের (Qatar Airlines) একটি নিয়মিত ফ্লাইটে রওনা হন এবং দোহায় (Doha) যাত্রাবিরতি শেষে প্যারিসে (Paris) পৌঁছাবেন। বুধবার বিচারপতি স্বপ্না প্রধান মল্ল (Justices Sapana Pradhan Malla) ও বিচারপতি তিলপ্রসাদ শ্রেষ্ঠের (Til Prasad Shrestha) যৌথ বেঞ্চ তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়, তিনি বলেন, অন্য মামলায় তাঁকে জেলে যেতে হবে না, ১৫ দিনের মধ্যে ফরাসি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। 19 বছর 2 মাস কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন শোভরাজ। বৃহস্পতিবার তার মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও ইমিগ্রেশন বিভাগে কাগজপত্র ও অন্যান্য কিছু অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার কারণে শুক্রবার বিকেলেই তার মুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে কানাডিয়ান লেডি ডুপার (Laddie DuParr) এবং অ্যানাবেলা ট্রেমন্ট (Annabella Tremont) নামে একজন আমেরিকান মহিলাকে হত্যার জন্য নেপালে শোভরাজকে খুঁজছিল, নেপাল পুলিশ। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে শোভরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯৮৬ সালের মার্চে, তিনি দিল্লির তিহার জেল (Tihar Jail) থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন, কারণ সম্ভবত তাকে থাইল্যান্ডে হস্তান্তর করা হত, পাট্টায়ার (Pattaya) সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরিহিত ছয়জন মেয়েকে হত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য। পরে 1১৯৮৬ সালের এপ্রিলে গোয়ায় তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৭ সালে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি ফ্রান্সে চুপচাপ থাকতেন বলে জানা যায়।
শোভরাজ তাঁর আবেদনে যুক্তি দেন, তিনি ইতিমধ্যেই ১৯ বছর জেল খেটেছেন, এখন তাঁর বয়স ৭৮ বছর। নেপালের কাঠমান্ডূ (Kathmandu) ও ভক্তপুর (Bhaktapur) জেলা আদালত তাকে ১৯৭৫ সালে মার্কিন ও কানাডীয় নাগরিক হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। ২০১০ সালে কাঠমান্ডূ জেলা আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়কে সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালে ভক্তপুর জেলা আদালত তাঁকে কানাডার নাগরিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। শোভরাজ বারবার সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন, ৭০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যে উদারতা পান, তার দাবি করেছিলেন। বিশেষ করে সংবিধান দিবস, গণতন্ত্র দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসকে ঘিরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আশায় এই ধরনের আবেদনপত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে তার সব আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তাঁর হার্টের অস্ত্রোপচারও হয়েছিল।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)