Bangladesh Dengue Situation: বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও ১১ জনের

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: IANS)

বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। গতকাল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এটি চলতি বছর এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এই নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৫৯। গত ২৪ দিনে ডেঙ্গুতে ১৪৪ জনের মৃত্যু হলো।গত মাসে ডেঙ্গুতে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় পাঁচজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চারজন ও খুলনা বিভাগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত পয়লা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৮৬ হাজার ৭৯১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৭২০ জন রোগী। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল নতুন করে আরও ১ হাজার ৭৯ জন রোগী জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

#Bangladesh: Dengue cases are on the rise in the country. 11 more died on Nov 24, the highest in a day this year. The number of fatalities from the mosquito-borne disease reached 459 this year. pic.twitter.com/jEk6SxcZpp

স্বাস্থ্য দফতরে আজ সকাল আটটা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২৭২ জন ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৯৪, খুলনা বিভাগে ১৪৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৩, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২১, বরিশাল বিভাগে ৯৭, রাজশাহী বিভাগে ৫৮, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫, রংপুর বিভাগে ১৭ এবং সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান- এখন ডেঙ্গু সংক্রমণ যে রূপ নিয়েছে, তাতে জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সরকার এটা বুঝতেই চাইছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও স্থানীয় সরকার গতানুগতিক ধারায় কাজ করে চলেছে। তাদের বোধ না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে হয় না।বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। তখন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৪৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৪ জন নারী ও ২২৫ জন পুরুষ।