France: স্বামীর সম্মতিতে ১০০ জন পুরুষ প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করেছে মহিলাকে, 'আবর্জনার মতো ব্যবহার করা হত', মন্তব্য নির্যাতিতার

প্রায় কয়েকবছর ধরে কমপক্ষে ১০০ জন ধর্ষণ করেছে এক মহিলাকে। তাও আবার তাঁর স্বামীর সম্মতিতে। এমনকী সেই প্রতিটি ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো করে সংরক্ষণ করতেন অভিযুক্ত স্বামী।

Representational Image (Photo Credit: X)

প্রায় কয়েকবছর ধরে কমপক্ষে ১০০ জন ধর্ষণ করেছে এক মহিলাকে। তাও আবার তাঁর স্বামীর সম্মতিতে। এমনকী সেই প্রতিটি ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো করে সংরক্ষণ করতেন অভিযুক্ত স্বামী। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ফ্রান্সের আভিগনন শহরের। নির্যাতিতার নাম গিজেল পেলিকোট (Gisele Pelicot) এবং তাঁর বর্তমান বয়স ৭২। অন্যদিকে অভিযুক্ত স্বামীর নাম ডোমিনিক পেলিকোট (Dominique Pelicot), বয়স ৭১ বছর। নির্যাতিতার দাবি, বিয়ের কয়েকবছর পর থেকেই তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু করেছিল ডোমিনিক। তাঁর সঙ্গে আবর্জনার মতো ব্যবহার করত স্বামী। ২০২০ সালে এই ঘটনা সামনে আসার পর শুরু হয় তদন্ত। তারপর সম্প্রতি ডোমিনিক সহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার পর শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়।

এদিন গিজেল আদালতে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভৎস ঘটনাগুলির বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ৯০ দশকের সময় থেকে তাঁর ওপর অত্যাচার করছিল ডোমিনিক। এরমধ্যে একদিক তাঁর খাবার ও পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়ছিল। সেদিন থেকে ঘরে প্রতিদিন অপরিচিত ব্যক্তিরা এসে তাঁকে ধর্ষণ করে যেত। মাঝেমধ্যে ক্লান্ত বা অসুস্থ থাকলেও এই অত্যাচার বন্ধ থাকত না বলে জাানিয়েছেন গিজেল। আর এই সমস্ত ঘটনার ছবি এবং ভিডিয়ো করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখত অভিযুক্ত স্বামী।

গিজেল আরও বলেন যে, ২০১১ সালে তাঁকে একজন এইচআইভি পজিটিভ আক্রান্ত ব্যক্তি এসে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। তাঁর স্বামী জানা সত্ত্বেও এতে সম্মতি দিয়েছিল। এরপর তিনি এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে এক ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের নজরে গোটা বিষয়টি আসে। তারপর এই ঘটনার তদন্ত শুরু হলে ডোমিনিকের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ২০ হাজার ছবি ও ভিডিয়ো। আর তাতেই জানা যায় যে কমপক্ষে ১০০ জন এই ঘটনায় জড়িত। এদের মধ্যে ১৪ জন নিজের দোষ স্বীকার করলেও ৩৫ জনের দাবি মহিলার সম্মতি মেলার পরেই তাঁরা যৌন সম্পর্কে জড়িত হয়েছেন। এবং বাকিদের মধ্যে কেউ অস্বীকার করেছেন আবার অনেককে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।



@endif