Babul Supriyo: 'দিলীপদা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কথা বলেছেন এতে দলের কিছু করার নেই', মন্তব্য ক্ষুব্ধ বাবুল সুপ্রিয়র
একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে বারবার বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলছেন দিলীপ ঘোষ। তবে এবার তাঁর মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার রানাঘাটে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-র সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। সেখানে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যারা সিএএ-র বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে সম্পত্তি নষ্ট করেছিল তাদের 'কুকুরের মত গুলি করে মারা উচিত।" বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে বলেন,"দিলীপ দা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত কথা বলেছেন।" তিনি আরও জানান,"দিলীপ দা যা বলেছেন তার জন্য বিজেপির কিছু করার নেই।"
কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি: একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে বারবার বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তবে এবার তাঁর মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার রানাঘাটে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-র সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। সেখানে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যারা সিএএ-র বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে সম্পত্তি নষ্ট করেছিল তাদের 'কুকুরের মত গুলি করে মারা উচিত।" বাবুল সুপ্রিয় টুইট (Tweet) করে বলেন,"দিলীপদা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত কথা বলেছেন।" তিনি আরও জানান,"দিলীপদা যা বলেছেন তার জন্য বিজেপির কিছু করার নেই।"
"এটি দিলীপদার ভ্রান্ত ধারণা। অসম, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি যে কোনও জায়গায় বিজেপি সরকার কখনও, কোনওদিনই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে না", বলে জানান বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার রানাঘাটে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে প্রচারে ফের তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘এখানে আসবে, থাকবে, খাবে আবার সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করবে! আমরা এলে লাঠি মারব, গুলি করব, জেলে পাঠাব। মমতা ব্যানার্জির কোনও মুরোদ নেই।’’ আরও পড়ুন, ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের গুলি করব জেলে পাঠাবো’, হুমকি দিলীপ ঘোষের
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে তাঁকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকেও সরানো হতে পারে। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়, কেন্দ্রের এক রাষ্ট্রমন্ত্রীও এই একই কথা বলেছিলেন। সিএএ-র বিরোধিতায় যখন গোটা দেশ উত্তাল সেই সময় পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা ট্রেনে পাথর ছুঁড়েছে। এর জেরে রেলের কামরা নিদারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেলের সম্পত্তি ধ্বংস যারা করেছে তারা কি জানে একটি ট্রেন তৈরি করতে কতদিন লাগে, কি বিরাট পরিমাণে টাকা ধ্বংস হয়। যারা এমন কাজ করবে, তাদের দেখলেই গুলি করে মারো। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় গোলমাল। একজন মন্ত্রী কীকরে একথা বলতে পারেন দেশজুড়ে বিরোধীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সেই সময় রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব ওই মন্ত্রীকে সমর্থন করেছিল।