Diego Maradona Museum: ফুটবল সম্রাট দিয়েগো মারাদোনার স্মৃতিতে বিশ্বমানের যাদুঘর স্থাপনের পরিকল্পনা কেরালার ব্যবসায়ীর
ফুটবল সম্রাট দিয়েগো মারাদোনার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিশ্বমানের যাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা করছেন কেরালার এক ব্যবসায়ী, ববি চেম্মানুর। কলকাতা কিংবা দক্ষিণের কোনও এক রাজ্যে এই যাদুঘর তৈরির কথা ভাবছেন তিনি। যেখানে থাকবে সোনায় মোড়া মারাদোনার মূর্তি। যা এই মিউজিয়ামের সবথেকে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠবে।
ত্রিসূর, ১১ ডিসেম্বর: ফুটবল সম্রাট দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona)স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিশ্বমানের যাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা করছেন কেরালার এক ব্যবসায়ী, ববি চেম্মানুর (Boby Chemmanur)। কলকাতা কিংবা দক্ষিণের কোনও এক রাজ্যে এই যাদুঘর তৈরির কথা ভাবছেন তিনি। যেখানে থাকবে সোনায় মোড়া মারাদোনার মূর্তি। যা এই মিউজিয়ামের সবথেকে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠবে।
আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি এই শিল্পীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে তিনি যাদুঘর বানাতে ইচ্ছুক, সোমবার তা টুইট করে নিজেই জানান। ১৯৮৬ সালে ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপরীতে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর অভিনব জয়ের মুহূর্তটিকে সোনায় মোড়া মারাদোনার প্রতিমূর্তি তৈরি হবে। একটি সাংবাদিক বৈঠকে ব্যবসায়ী ববি চেম্মানুর জানান,"আমার তরফে মারাদোনার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটি একটি শ্রদ্ধার্ঘ। তাঁর জীবনের সমস্ত তথ্য এখান থেকে সংগ্রহ করা যাবে।" ২০১২ সালে ভারতে এসেছিলেন মারাদোনা। সেসময় ফুটবল সম্রাটের মিনিয়েচার সোনার মূর্তি উপহার দিয়েছিলেন মারাদোনাকে। এবার তাঁর প্রতিমূর্তি তৈরির স্বপ্ন পূরণ করতে চান চেম্মানুর। আরও পড়ুন, সিঙ্ঘু সীমান্তে পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা দুই আইপিএস এবার করোনা পজিটিভ
দুবাইয়ে মারাদোনার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের শুরু ২০১১ সালে। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠা। তাঁর কাছে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় একমাত্র মারাদোনাই। একজন সংবেদনশীল, সৎ মানুষ, একাধারে অল্পতেই রেগে যান, আবার প্রচন্ড আবেগপ্রবনও। এভাবেই নিজের বন্ধুর কথা জানান তিনি। ২০১২ সালে কেরালাতে আসেন তিনি, এরপর ২০১৮-য় ববি চেম্মানুর গরুপের সঙ্গে অ্যাম্বাসেডর ছিলেন মারাদোনা। এখানে তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
২৫ নভেম্বর, ২০২০ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা (Diego Maradona)। নভেম্বর মাসের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দিয়েগো মারাদোনাকে। খবর অনুযায়ী, হতাশাজনিত কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আর তাতেই তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ কয়েকদিন হাসপাতালে জীবন মরণ লড়াইয়ের পর পার্থিবলোক ছেড়ে বিদায় নেন ফুটবলের রাজপুত্র।