Zinc Deficiency: জিঙ্কের ঘাটতিতে খুব দুর্বল হয়ে যায় শরীর, জেনে নিন জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করার জন্য খাদ্যতালিকায় কী কী যুক্ত করা উচিত...
শরীরকে সুস্থ রাখতে সব ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন, যার মধ্যে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারে শরীর। তাই জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিঙ্কের অভাবে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। জিঙ্কের অভাব দেখা দিলে ওজন হ্রাস পায়, দুর্বল বোধ হয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে, চুল পড়ে, ক্ষত নিরাময়ে সময় লাগে, ক্ষুধা হ্রাস হয়ে যায়, স্বাদ ও গন্ধের অনুভব কমে যায়, ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়।
জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিমের কুসুম, দই, রসুন, কাজু অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ডিমের হলুদ অংশকে বলা হয় কুসুম। অনেকেই প্রোটিনের জন্য ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে খায়, কিন্তু কুসুমে জিঙ্ক, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, থায়ামিন, ফোলেট, প্যানথনিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস পাওয়া যায়। প্রতিদিন খাবারে দই খেলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া জিঙ্কও রয়েছে এই দুগ্ধজাত পণ্যে।
অনেকেই রসুনের গন্ধ পছন্দ করে না, তবে এটি জিঙ্কের একটি সমৃদ্ধ উৎস। জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন যুক্ত করা উচিত। রসুনে জিঙ্ক ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়োডিন। এছাড়া ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করে কাজু। এই ড্রাই ফ্রুটে জিঙ্কের পাশাপাশি পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং ফোলেট। বিশেষ করে শীতকালে কাজুবাদাম বেশি খাওয়া হয়।