Swine Flu and Pneumonia: সোয়াইন ফ্লুর ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে নিউমোনিয়া হতে পারে গুরুতর সমস্যা...
H1N1 ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট সোয়াইন ফ্লু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অনেক শহরে। বর্তমানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে (ওপিডি) রোগী ভর্তি রয়েছে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন অনেকেই। এই ভাইরাসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ফুসফুসের গভীরে গিয়ে অন্যান্য ধরনের ফ্লুর তুলনায় শ্বাসযন্ত্রের বেশি ক্ষতি করে এবং নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সোয়াইন ফ্লুর সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, ঠান্ডা লাগা, শরীরে ব্যথা, বমি বমি ভাব, কাশি এবং মাথাব্যথা। এই লক্ষণগুলি ৩ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হতে পারে, তবে অনেক সময় কাশি একটু বেশি সময় ধরে থাকতে পারে।
মাত্র ৫ শতাংশ রোগী গুরুতর হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যদি অন্য কোনও রোগের কারণে শরীর খারাপ হয়ে থাকে। সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসটি ফুসফুসে পৌঁছানোর পর সেখানকার বাতাসের থলিগুলি সংক্রামিত হয়ে ফুলে যায়, যার ফলে সেগুলি তরল দিয়ে পূর্ণ হয়। এই কারণে হঠাৎ করে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়, যার কারণে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এছাড়াও, ভাইরাসটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই কমিয়ে দেয় যে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ সহজেই দুর্বল ফুসফুসকে পরাভূত করতে পারে, যার ফলে নিউমোনিয়া হয়।
সোয়াইন ফ্লুর লক্ষণগুলি সাধারণ ফ্লুর মতোই হয়। সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গের মতো প্রায়শই ঠান্ডা লাগা এবং শরীরে ব্যথা হয় ও শুকনো বা শ্লেষ্মা-ভরা কাশি হয়। ডায়রিয়া এবং বমি ফ্লুতে কম দেখা যায়। ক্লান্তি, পেশী ব্যথা এবং মাথাব্যথা হয়। Oseltamivir হল একটি অ্যান্টিভাইরাল যা দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে নেওয়া হলে সংক্রমণের তীব্রতা রোধ করতে পারে। প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ডায়েট এবং ভালো ঘুম জরুরি। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখাও জরুরি। এই সময়ে নিজেকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা উচিত, যাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।