Post C-Section Diet: সি-সেকশন হলে খাদ্যতালিকায় কি কি যুক্ত করা উচিত এবং কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়! জেনে নিন বিস্তারিত...

Credit: pixabay

সন্তান জন্ম দেওয়া একজন নারীর জন্য আনন্দদায়ক হওয়ার সঙ্গে হয় চ্যালেঞ্জিং। মহিলারা স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, যাতে নিজের এবং সন্তানের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য পুষ্টিকর পরিপূরক গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সি সেকশন নিয়ে ভুল ধারণা আছে যে নারীরা সি-সেকশন ডেলিভারির পর পুষ্টিকর পরিপূরক গ্রহণ করতে সক্ষম হয় না। তবে বর্তমান যুগে সি-সেকশনের মাধ্যমেই সবথেকে বেশি সন্তানের জন্ম দেয় মহিলারা। সি সেকশনের পর মহিলাদের কী খাওয়া উচিত এবং কী খাওয়া উচিত নয় তা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। সি সেকশন ডেলিভারির পর ডায়েট সম্পর্কে অনেক কিছুই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার সামর্থ্যের স্তরের উপর নির্ভর করে। সেই ব্যক্তি কতটা সক্রিয় তার উপর খাবার নির্বাচন করা হয়। প্রসবের পর প্রথম সপ্তাহে, মহিলাদের তেমন নড়াচড়া হয় না, তাই সেই সময়ে তাদের শুধুমাত্র তরল খাদ্যে খাওয়া উচিত। এমন অবস্থায় তাদের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে পাতলা খিচুড়ি, বরিজ এবং ডাল। সাধারণ ডেলিভারি হোক বা সি-সেকশন, উভয় ক্ষেত্রেই নারীরা দুর্বল বোধ করেন। কিন্তু সি সেকশনের ক্ষেত্রে নারীদের একটু বেশি যত্নের প্রয়োজন। অস্ত্রোপচারের কারণে নারীরা খুব দুর্বল বোধ করেন, খুব বেশি হাঁটতে পারেন না। এছাড়া পেটের পেশীর দুর্বলতার সমস্ত চাপ পিঠের পেশীতে পড়ে, যার কারণে পিঠের ব্যথায় ভুগতে হয় নারীদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সি সেকশনের কারণে সমস্যা দেখা দেয়। সার্জারি মহিলাদের বিপাক নষ্ট করে। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য মহিলাদের দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। প্রসবের পরে সংক্রমণ এড়াতে একটি ভালো খাদ্যতালিকা খুব দরকার। ভালো খাদ্যাভ্যাস মহিলাদের শক্তির জোগান দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে, যাতে মহিলারা নিজেদের এবং তাদের সন্তানদের প্রতি আরও ভালো মনোযোগ দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্তন্যদানকারী মহিলারা ভালো খাবার খেলে শিশু সম্পূর্ণ পুষ্টি পায়৷ এমন পরিস্থিতিতে, ফাইবার এবং প্রোটিন ভিত্তিক খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়৷ প্রসবের পর ৪০ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে খুব বেশি মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া এই সময় কোল্ড ড্রিংকস জাতীয় পানীয় এবং খুব বেশি চা-কফি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।