Ramadan 2019:রোজার মাসে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মাবলী

এই গরমে সারাদিন উপবাসের পর সন্ধ্যায় পুষ্টিকর খাবার রোজদারের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে যেমন শরীরে খাবারের ঘাটতি পূরণ হয়। একই সঙ্গে গরমের সহজাত ক্লান্তি কেটে শক্তি ফেরে রোজাদারের শরীরে।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Wikimedia Commons)

আগামী সাত তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ইসলাম ধর্মের(Islam Religion) পবিত্র রমজান মাস (Holly month Ramadan)চলবে ৬জুন পর্যন্ত। আগামী ৭ জুন খুশির ইদ। এই রোজা সাধারণত আকাশে চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী ঠিক হয়। চলতি মাসের পূর্ণিমার চাঁদ দেখে রোজা শুরু, তেমনই চাঁদ দেখেই ইদ আসে। তা অনেক সময় চাঁদের অবস্থান মেনে তিরিশের বদলে ২৯টি রোজাও হয় কখনও। মাঝরাতে উঠে সামান্য জলযোগ করার পর আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা দিয়েই রোজার শুরু। তারপর গোধূলি লগ্নে মগরিবের নামাজ পড়ার আগে জলের সঙ্গে খেজুর জাতীয় ফল খেয়ে রোজা ভাঙা হয়। এরপর নামাজ (Namaz) পড়ে খাওয়াদাওয়ার পর্ব চলে যাকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ইফতার বলে থাকেন। এই খাদ্য তালিকায় সাধারণত মরশুমি ফল থেকে শুরু করে তেলেভাজা, মিষ্টি থাকে। তারপর রাতে তারাবির নামাজ পড়ে ভাত রুটি দিয়ে যে যার মতো ডিনার সারেন। এবার চাঁদি ফাটা গরমে হচ্ছে রমজান। সারাদিনের নির্জলা উপবাসে মুসলিম ভাইবোনদের সুস্থ থাকার উপায় রইল এই প্রতিবেদনে।

এই গরমে সারাদিন উপবাসের পর সন্ধ্যায় পুষ্টিকর খাবার রোজদারের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে যেমন শরীরে খাবারের ঘাটতি পূরণ হয়। একই সঙ্গে গরমের সহজাত ক্লান্তি কেটে শক্তি ফেরে রোজাদারের শরীরে।

সেহরি(Sehri)

রোজা করলে অবশ্যই ভোর রাতে সেহরি খান। সারা দিন শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে এই সেহরির জুড়ি মেলা ভার। তাই সেহরির  খাদ্য তালিকায় থাক ভেজানো বাদাম থেকে দুধ, মিষ্টি, ফলের রস। রুটি, ফাইবারের অভাব পূরণ করতে একবাটি সবজি, চিকেন স্টু, ডিম সেদ্ধ।

ইফতার(Iftar)

রমজানে খাওয়াদাওয়ার মূল সময়টাই হল ইফতার। সারা দিনের কঠোর কৃচ্ছ সাধনের পর গোধূলিলগ্নে রোজা ভাঙা দিয়েই ইফতারের শুরু। এই সময় শরীরে জলের গাটি পূরণ করতে নুন, চিনি পাতি লেবুর রসের মিশ্রনে সরবত পান করুন। খেজুর খেতে পারেন, ভেজানো ছোলা ভাজা, বিভিন্ন মরশুমি ফল। ডিনারে রাখুন রুটি বা ব্রাউন রাইস সঙ্গে মুসুর ডাল, ডিম বা মাছ বা মাংসের কোনও পদ।

বলাবাহুল্য, আজকের দিনে নিরোগ মানুষ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। ডায়াবেটিস, সুগার, হাই বা লো প্রেশার, থাইরয়েড, হৃদরোগ কিছু না কিছু থেকেই যায়। তাই রোজার আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধের চার্ট বানিয়ে নিন। ইফতার ও সেহরির মধ্যবর্তী সময়এ কখন কীভাবে ওষুধ খেলে সুস্থভাবে একমাস রোজ পালন করতে পারবেন তা ঠিক করে নিন। গরমে রোজা তাই ফল ও জলের ঘাটতি দূর করার ব্যবস্থা রাখুন। রোদ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। দেখবেন ৩০দিন কেটে খুশির ইদ চলে এসেছে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now