Bohag Bihu 2024: বোহাগ বিহু কবে? কেন পালিত হয় বোহাগ বিহু? জেনে নিন বিস্তারিত...
আসামের একটি জনপ্রিয় উৎসব হল বোহাগ বিহু। অসমীয়া নববর্ষ উপলক্ষে অনেক ধুমধাম করে পালন করা হয় বোহাগ বিহু উৎসব। বোহাগ বিহু পরিচিত রোঙ্গালি বিহু নামেও। ৭ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। এই ৭ দিনে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বিহু নৃত্যের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে পালন করা হয় বোহাগ বিহু উৎসব। ২০২৪ সালে ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পালিত হবে এই উৎসব।
বোহাগ বিহু উৎসব চলাকালীন, কৃষক সমাজের মানুষরা ভালো ফসলের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায় এবং নতুন বছরেও যাতে ভালো ফসল হয় তার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে তারা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে একত্রিত করে এই উৎসবটি। এই উৎসব ঘিরে আসামের মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। এই উৎসবে ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা হলুদ এবং উরদ ডাল বাটা দিয়ে স্নান করে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন সকলেই। বোহাগ বিহুর ৭ দিনে ৭ রকম ভাবে পালন করা হয় বিহু উৎসব। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
- গোরু বিহু
বোহাগ বিহু উৎসবের প্রথম দিনে পুজো করা হয় গরু এবং বলদের। গবাদি পশুদের নদীতে স্নান করিয়ে তাদের মালা পরিয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। এদিন গবাদি পশুর নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করা হয়।
- মানুহ বিহু
বোহাগ বিহু উৎসবের দ্বিতীয় দিনে সকলে একত্রিত হয়ে একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়, বড়দের কাছ থেকে নেওয়া হয় আশীর্বাদ। এই দিনে ঐতিহ্যবাহী অসমীয়া খাবার প্রস্তুত করার পাশাপাশি বিখ্যাত বিহু গান ও বিহু নাচ করা হয়।
- গোসাই বিহু
বোহাগ বিহু উৎসবের তৃতীয় দিনটি মানুষ একত্রিত হয়ে দেবতাদের কাছে আগামী একটি সমৃদ্ধ ও ফলপ্রসূ বছরের প্রার্থনা করে। এই দিনে পুজো করা হয় গৃহদেবতা এবং পূর্বপুরুষদেরও।
- তাত বিহু
বোহাগ বিহু উৎসবের চতুর্থ দিনে পালিত হয় তাত বিহু। এই দিনটি উৎসর্গ করা হয় ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পীদের শৈল্পিকতা এবং কারুকার্যের জন্য এবং তাদের কাজের প্রশংসা করা হয়।
- ঘরু বিহু
বোহাগ বিহু উৎসবের পঞ্চম দিনে পালিত হয় ঘরু বিহু। এই দিনে কৃষকরা ঈশ্বরের কাছে নতুন বছরে ভালো ফসলের জন্য প্রার্থনা করে।
- চেরা বিহু
বোহাগ বিহুর ষষ্ঠ দিনে সকল ব্যক্তি তাদের বাড়ি এবং আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার করে। এই দিনে পুরানো এবং অব্যবহৃত জিনিস ফেলে দেওয়া হয় এবং তাজা ফুল ও রঙ্গোলি দিয়ে বাড়ি সাজানো হয়।
- বোহাগি বিদায়
বোহাগ বিহুর শেষ দিনে পালিত হয় উৎসব সমাপ্তি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ইত্যাদির মাধ্যমে পালন করা হয় এই উৎসবের শেষ দিনটিও।