J&K Assembly Election: ১০ বছর পর ফের নির্বাচন কাশ্মীর উপত্যকায়, প্রথম দফার ২৪ টি আসনে ভাগ্য নির্ধারণ ২১৯ জন প্রার্থীর

আজ উপত্যকায় ভোট উৎসব।  ১০ বছর পর ভোটে অংশ নিচ্ছেন জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী মোট তিন দফায় জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে যার আজ প্রথম দফা। প্রথম দফায় ২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।তার মধ্যে জম্মুতে আটটি এবং কাশ্মীরে ১৬ আসন রয়েছে। জম্মুতে আজ যেখানে ভোট রয়েছে সেগুলি হল  ইন্দেরওয়াল, কিশতওয়ার, পাদার-নাগসেন ভদেরওয়াহ, ডোডা, ডোডা পশ্চিম, রামবান এবং বানিহাল আসন।জম্মুর এই আটটি আসনে মোট ৬৪ জন প্রার্থী রয়েছেন, এর মধ্যে ২৫ জন নির্দল প্রার্থী। অন্যদিকে বাকি  ১৬টি আসন দক্ষিণ কাশ্মীরের। পাম্পোর, ত্রাল, পুলওয়ামা, রাজপোরা, জৈনাপোরা, সোপিয়ান, ডিএইচ পোরা কুলগাম, দেবসার, ডোরু, কোকেরনাগ, অনন্তনাগ পশ্চিম, অনন্তনাগ, শ্রীগুফওয়ারা-বিজভেরা, শাঙ্গাস-অনন্তনাগ পূর্ব এবং পহেলগাম আসন অন্তর্ভুক্ত।

 

জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে নির্বাচনের প্রাক্কালে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন- "জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। আমি জম্মু কাশ্মীরের বিপুল সংখ্যক মানুষকে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের উৎসবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। "

আজ প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ২৩ লাখ ভোটার।যার মধ্যে রয়েছেন ৩৫ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত।  এর আগে ২০১৪ সালে যখন জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, তখন সেটি পূর্ণ রাজ্য ছিল। তবে এখন এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।২০১৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পিডিপি দক্ষিণ কাশ্মীর এবং চেনাব উপত্যকায় ২২টি আসনের মধ্যে ১১টি আসন জিতেছিল। এটিই সর্বোচ্চ আসন ছিল। বিজেপি এবং কংগ্রেস ৪টি আসনে জিতেছিল, ন্যাশনাল কনফারেন্স ২টি আসন এবং সিপিআই-এম একটি আসন দখল করেছিল। ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর ডোডা এবং কিশতওয়ার জেলায় একটি করে আসন বেড়েছে।তাই এবার ২৪টি আসনে ভোট হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে মুখ্য ইস্যু ৩৭০ ধারা। ইতিমধ্যেই নিজেদের ইশতেহারে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস ৩৭০ ধারা নিয়ে 'নীরব'। তবে তারা জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইস্তেহারে।

শেষবার ক্ষমতায় থাকা পিডিপি এবারের নির্বাচনে একলা পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের দাবি- বিজেপি বিরোধী একটি সরকার গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই নির্বাচনে। তবে মনে করা হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে শেখ আবদু রশিদের আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টি। তারা অনানুষ্ঠানিক ভাবেই 'নিষিদ্ধ' জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে কৌশলগত জোটে গিয়েছে।