Afghanistan: পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ হাক্কানি নেটওয়ার্ক, তালিবানের এই সংগঠনই ভারতের 'মাথা ব্যথার' কারণ

সিরাজউদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভাল হওয়ায়, ভারতের জন্য তা কতটা চিন্তার, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে দিল্লি। ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

Taliban Haqqani Network (Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তানে (Afghanistan) সম্প্রতি গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। তালিবান (Taliban) সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে, সে বিষয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে দিল্লি। আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কিংবা ব্যবসায়িক সম্পর্ক কেমন হবে, তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে বলে আগেই জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এবার প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য।

জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দ কিংবা তাঁর সহকারী মোল্লা বরাদর নয়, ভারতের (India) মাথা ব্যথার কারণ সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। আফগানিস্তানের আভ্যন্তরীন মন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) আইএসআইয়ের (ISI) সম্পর্ক অত্যেন্ত মধুর। এমনকী, ২০০৮ সালে আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসে যে হামলা হয়, তার প্রধান মাথা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। ২০০৮ সালের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়।

সিরাজউদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভাল হওয়ায়, ভারতের জন্য তা কতটা চিন্তার, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে দিল্লি।

আরও পড়ুন:  Afghanistan: 'মোস্ট ওয়ান্টেড', তালিবান সরকারের ১৪ জন মন্ত্রীর নাম রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি তালিকায়

সম্প্রতি দোহায় (Doha) কাতারের ভারতীয় দূতের সঙ্গে বৈঠক করেন শের মহম্মদ স্টানিকজাই। বর্তমানে যিনি আফগানিস্তান মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। আবদুল গনি বরাদরের সঙ্গেও দোহায় ভারতীয় দূতাবাস কোনও বৈঠক করবে কি না, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালিবানের যে শান্তি চুক্তি হয় দোহায়, তার প্রধান মুখ ছিলেন মোল্লা বরাদর।

পাশাপাশি আফগানিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দের সঙ্গে এক সময় মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ৯/১১-র হামলার ঘটনায় মোল্লা ওমর অন্যতম চক্রী ছিলেন বলে জানা যায়। মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা আখুন্দ বামিয়ান বুদ্ধের ধ্বংসলীলায় প্রধান মুখ ছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু পরে  ক্ষমতার সম্প্রসারণ হওয়ায় আকুন্দ ক্রমশ হাক্কানি নেটওয়ার্কের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। আর এই হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নিয়েই চিন্তায় ভারত।

হাক্কানি নেটওয়ার্কের (Haqqani Network) নিষ্ঠুরতা এবং পাকিস্তানের গোয়ান্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তাদের যোগ, কতটা ক্ষতি করতে পারে ভারতের, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই হাক্কানি নেটওয়ার্কই বর্তমানে কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে। হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইসিস খোরাসান এবং আল কায়দার সম্পর্কও ঘনিষ্ঠ। আইসিস খোরাসানই কাবুল বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে। সবকিছু মিলিয়ে তালিবানের হাক্কানি নেটওয়ার্ক ভারতের কতটা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা খতিয়ে দেখছে দিল্লি (Delhi)।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now