Lok Sabha Elections 2024: টার্গেট ২০২৪, গত লোকসভায় হারা ১৪৪টি আসনে ৪০টি সভা করবেন মোদি
এখন থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা। ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের হেরে যাওয়া ১৪৪টি আসনকে টার্গেট করে ৪০টি জনসভা করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে।
নয়াদিল্লি: এখন থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) নেতারা। ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের হেরে যাওয়া ১৪৪টি আসনকে (Parliamentary Seats) টার্গেট করে ৪০টি জনসভা করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ( PM Narendra Modi) দিয়ে।
বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, লোকসভা প্রভাস যোজনা ফেজ-২ (Lok Sabha Pravas Yojana Phase-2) অন্তর্গত পরিকল্পনায় দেশজুড়ে হেরে যাওয়া ও দল দুর্বল এমন ১৪৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪০টি জায়গায় প্রধানমন্ত্রী মোদি ৪০টি বড় জনসভা করবেন। আর বাকি ১০৪টি আসনে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা (BJP President JP Nadda), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা জনসভা করবেন।
ওই জনসভাগুলির ফাঁকে বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যেখানে যাবেন সেখানকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই আলোচনায় স্থানীয় যে সমস্ত বিজেপি নেতাদের মানুষ দেখতে পারেন না তাঁদের বিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেই এই বিষয়ে মোট পাঁচটি করে কাজ দেওয়া হয়েছে। যার প্রথমটি হল, প্রচারের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত করা। দ্বিতীয়, স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ। তৃতীয়, রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা (Political Management)। চতুর্থ, লোকসভা এলাকাগুলির প্রয়োজনীতা অনুভব করে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া। পঞ্চম, যে লোকসভাগুলিতে জনসভা হবে সেখানে রাত্রিবাস করতে হবে।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৪৪টি আসনের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২৬টি আসনও। পাঁচটি ভাগে ভাগ করে এই আসনগুলিতে জয়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মেনে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে এই জায়গাগুলিতে স্মৃতি ইরানি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বিধানসভাভিত্তিক রিপোর্টও তৈরি করা হয়েছে।