Women’s Equality Day 2022 Date & Significance: ভোটদানের অধিকার থেকে বৈষম্যহীনতার দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের আন্দোলনের ফসল আজকের নারী সাম্য দিবস
১৯২০ সালের ঠিক এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৯ তম সংশোধনী গৃহীত হয়। সেই সংশোধনীর মাধ্যমেই পুরুষদের পাশাপাশি সমান অধিকারী হিসাবে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে আসেন মহিলারা।
২৬ অগাষ্ট বুধবার সারা বিশ্বে পালিত হবে মহিলাদের সমতা দিবস (Women's Equality Day 2022)। কিন্তু এই দিনের গুরুত্ব আর পাঁচটা দিনের থেকে একটু হলেও আলাদা। ১৯২০ সালের ঠিক এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৯ তম সংশোধনী গৃহীত হয়। সেই সংশোধনীর মাধ্যমেই পুরুষদের পাশাপাশি সমান অধিকারী হিসাবে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে আসেন মহিলারা। ১৯২০ সালের সেই দিনটি তারপর থেকেই গোটা বিশ্বে পালন হয় মহিলাদের সমতা দিবস উপলক্ষ্যে। কর্মসংস্থান এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য সমান অধিকারের পক্ষে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করা শুরু হয়।পৃথিবীর
মহিলারা সমস্ত মানব প্রজাতির ভরকেন্দ্র, তিনি কেবল সন্তানের জন্মই দেন না, লালন পালন ও করেন। একজন মহিলা তার এক জীবনে একসঙ্গে বহু ভূমিকা পালন করেন। কখনও মা, কখনও স্ত্রী, কখনো বোন, কখনো শিক্ষিকা, বন্ধু প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সমান ভাবে পালন করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করা,ব্যর্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করা , কোন দিকে এগোলে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে সবকিছু শেখানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন একজন মা। মায়েরাই তাদের সন্তানদের জীবনের মূল্যবোধ শেখায়, যারফলে বলাই যায় একটি শিশুর জীবনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক হলেন একজন মা।তাই শুধু সন্তান পালন নয়, পৃথিবীর সর্বক্ষেত্রে একজন নারীর ভূমিকা অগ্রগণ্য।
নারী সমানাধিকার দিবসের ইতিহাস-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের আগে, মহিলাদের ভোটাধিকার আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৮৩০-এর সময়ে আমেরিকার বেশিরভাগ রাজ্যে কেবল ধনী শ্বেতাঙ্গ পুরুষদেরই ভোটার অধিকার ছিল। এই সময়ে, বহু নাগরিক অধিকার আন্দোলন যেমন দাস প্রথা বিরোধী, নৈতিক আন্দোলন ইত্যাদি সারা দেশে খুব দ্রুত ঘটেছিল। মহিলারাও এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।১৮৪৮ সালে একদল আন্দোলনকারী নিউইয়র্কের সেনেকা ফলসে জড়ো হয়েছিল। এই গোষ্ঠীটি মহিলাদের সমস্যা এবং মহিলাদের অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করছিল। এই দলের মহিলাদের সঙ্গে কিছু পুরুষও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, আমেরিকান মহিলারাও তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক পরিচয়ের যোগ্য। কয়েক বছর পরে এই আন্দোলনটি খুব দ্রুত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাসত্ববিরোধী আন্দোলন এবং মহিলা অধিকার আন্দোলন এই দুই আন্দোলনের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকে। পরবর্তী সময়ে ১৮৯০ এর দশকে, ন্যাশনাল আমেরিকান ওমেন স্যাফারেজ অ্যাসোসিয়েশন শুরু হয় এবং যার নেতৃত্বে ছিলেন এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যানটন। ১৯২০ সালে , আইডাহো এবং ইউটা মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছিল। সেই থেকেই সূচণা নারী সমানাধিকার দিবস-এর।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)