নতুন দিল্লি, ১১ আগস্ট: লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চলছে লালফৌজের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি। চিন পিছু তো হটেইনি, উল্টে আক্রমণ শানাতে সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক, হেলিপ্যাড নিয়ে এসেছে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। এদিকে গত ২৯ জুলাই আম্বালায় বায়ুসেনা বেসে পৌঁছেছে যুদ্ধবিমান রাফাল (Fighter Jet Rafale)। এবার তাদের লাদাখ যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হল। তাই অপারেশনে নামার আগে হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় প্রস্তুতি শুরু করল রাফাল। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, রাতের বেলা পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাইলটরা। প্রয়োজন হলে কীভাবে মিসাইল ছুড়তে হবে শত্রু ঘাঁটিতে তার প্রশিক্ষণও চলছে। বায়ুসেনা সূত্র জানাচ্ছে, রাফালের বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মেটিওর মিসাইল ও এয়ার-টু-গ্রাউন্ড স্কাল্প মিসাইলের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন-ISKCON Temple: করোনার কোপে পুরোহিত-সহ ২২ জন কর্মী, জন্মাষ্টমীতেই বন্ধ বৃন্দাবনের ইসকন মন্দির
জানা গিয়েছে, ১৫৯৭ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে রাতের বেলা কড়া পাহাড়া দেবে রাফাল। মিসাইল-যুক্ত হয়েই টহলদারি চালাবে যুদ্ধবিমান। ডবল ইঞ্জিন মল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট রাফাল আকাশ থেকে ভূমিতে ও সমুদ্রেও নির্ভুল নিশানা লাগাতে পারে। অনেক উঁচু থেকে হামলা চালানো, যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা, মিসাইল নিক্ষেপ এমনকি পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতাও রয়েছে রাফালের। এই যুদ্ধবিমানের শক্তি বাড়িয়েছে মেটিওর ও স্কাল্প ক্ষেপণাস্ত্র। বায়ুসেনা জানাচ্ছে, মেটিওর হল বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ (বিভিআর) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল। ওজন ১৯০ কিলোগ্রাম। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁত টার্গেট করতে পারে। চিনের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ এয়ারক্রাফ্ট চেংড়ু জে-২০-র মুখোমুখি মোকাবিলা করার মতো শক্তি আছে রাফালের। কোনও কারণে চিনের ফাইটার জেট মুখোমুখি চলে এলে মিসাইল ছুড়ে কাবু করতে পারবে রাফাল। তাই পূর্ব লাদাখে মিরাজ, সুখোইয়ের মতো রাফাল ফাইটার জেটের প্রয়োজন পড়েছে বায়ুসেনার।
এদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের লাল ফৌজের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত থামেনি। বরং নতুন করে আকসাই চিন ও তিব্বতে চিনা সেনার তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। প্যাঙ্গং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার পয়েন্ট থেকে সেনা সরাতে নারাজ চিন। দুই দেশের সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র মেলেনি। এদিকে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে আকসাই চিনে সামরিক পরিকাঠামো, হেলিপ্যাড বানাচ্ছে চিনের সেনা। অন্যদিকে, তিব্বতের কাছে এয়ারবেসে চিনের যুদ্ধবিমানের ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। দৌলত বেগ ওল্ডিতে তাই সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র বাড়াচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। এই সময় উঁচু পাহাড়ি এলাকায় দিনে-রাতে কড়া নজরদারির জন্য প্রয়োজন রাফালের মতো মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের। নজরদারিও হবে আবার আকাশযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে চিনের যুদ্ধবিমানকে মুখোমুখি টক্কর দিতে পারবে রাফাল।