Dilip Ghosh: 'রাজ্য সরকারের প্রকল্পের বিরোধিতা নয়, সুযোগ পেলে আমিও নেব', স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swastha Sathi Card)! রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প ঘিরে তুমুল বিরোধিতা করছে মুখ্য বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। এবার সেই দলের প্রধান মুখ তথা রাজ্যে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) পরিবারই করিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। সেই নিয়ে প্রবল আলোচনা শুরু হতেই সেটি আরও উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ নিজে। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, রাজ্য সরকারে প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর বিরোধী নন তিনি। সুযোগ পেলে দিলীপ ঘোষ নিজেও কার্ড করাতে রাজি আছেন। তবে রাজ্য সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন তার বিরোধী দিলীপ ঘোষ।
কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swastha Sathi Card)! রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প ঘিরে তুমুল বিরোধিতা করছে মুখ্য বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। এবার সেই দলের প্রধান মুখ তথা রাজ্যে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) পরিবারই করিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। সেই নিয়ে প্রবল আলোচনা শুরু হতেই সেটি আরও উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ নিজে। সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, রাজ্য সরকারে প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর বিরোধী নন তিনি। সুযোগ পেলে দিলীপ ঘোষ নিজেও কার্ড করাতে রাজি আছেন। তবে রাজ্য সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন তার বিরোধী দিলীপ ঘোষ। পড়ুন: Gangasagar Mela 2021: অতিমারীর জেরে গঙ্গাসাগরে নেই পূণ্যার্থীর ভিড়, আর্থিক সঙ্কটের মুখে ব্যবসায়ীরা
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজে কার্ড না করলেও ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে স্বাস্থ্যসাথীর ক্যাম্পে হাজির হয়ে কার্ড করিয়েছেন দিলীপ ঘোষের পরিবার। 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্পে রীতিমত লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে কার্ড তুলেছেন দিলীপ ঘোষের ভাই হীরক ঘোষের স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য মহিলা সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হতেই ময়দানে নামেন দিলীপ ঘোষ নিজে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে সমর্থন জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, 'কার্ড পেলেন অথচ সুযোগসুবিধা না পেলে তখন কী মাথায় কার্ড নিয়ে শুয়ে থাকলে জ্বর কমবে?'
হীরক এবং সুকেশ ঘোষ। শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষের পরিবারের সদস্যই নন তাঁরা। দু'জনেই গোপীবল্লভপুরে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড করিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষের পুরো পরিবার। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, "মমতা ব্যানার্জির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অন্য কোনও পথ না পেয়ে। উনি বুঝে গেছেন দলটা উঠে যাবে। তাই আগেভাগেই নিজেকে আত্মসমর্পণ করেছেন।"