ব্রাজিলের (Brazil) করোনাভাইরাস (COVID-19) প্রাদুর্ভাব বিশ্লেষণ করে নতুন এই গবেষণায় ভাইরাসের বিস্তার এবং ডেঙ্গু জ্বরের অতীতের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে একটি যোগসূত্র পাওয়া গেছে। যার ফলে ডেঙ্গু (Dengue) মশার সংক্রমণজনিত অসুস্থতা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) গড়ে তুলতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মিগুয়েল নিকোলেলিস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন এমন চমকপ্রদ তথ্য। তিনি বলেন, চলতি বছর অথবা গত বছর ব্রাজিলের যেসব এলাকায় ডেঙ্গু রোগের মারাত্মক প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল সেসব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও ছড়িয়ে পড়ার হার কম। আরও পড়ুন, শর্তসাপেক্ষে বাংলায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ ও 'প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান' প্রকল্পের বাস্তবায়ণে রাজি মমতা ব্যানার্জি
গবেষণাটির তথ্য সঠিক প্রমাণিত হলে ডেঙ্গু সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে বা একটি কার্যকর এবং নিরাপদ ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের মাধ্যমে করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে থেকে কিছুটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা যেতে পারে। বিষয়টির স্বপক্ষে আরও জোরালো যুক্তি হাজির করেছেন অধ্যাপক নিকোলেলিস। এর আগে করা এক গবেষণার বরাতে তার দাবি, শরীরে ডেঙ্গুর অ্যান্টিবডি রয়েছে এমন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি না থাকলেও তারা কখনও কখনও অ্যান্টিবডি টেস্টে "পজিটিভ" হিসেবে শনাক্ত হন।
নিকোলেলিসের গবেষক দল ল্যাটিন আমেরিকা, এশিয়া এবং প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমন দাবি করেছেন। করোনাভাইরাস-মুক্ত কিছু জায়গা চিহ্নিত করার পরে গবেষক দলটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যার সন্ধান করলে বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ প্রসঙ্গে নিকোলিস বলেন, "বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, এমনটি ঘটে - আপনি কোনো একটি লক্ষ্যবস্তু ঠিক করছেন কিন্তু আপনি এমন একটি ফলাফল পেলেন যা কখনও কল্পনাও করেননি।"