ঢাকা, ১২ এপ্রিল: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (Sheikh Mujibur Rahman) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ঘাতক ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের (Abdul Majed) ফাঁসি (Hang) হয় গতকাল সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে। কেরানীগঞ্জের ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। শুক্রবার আব্দুল মাজেদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য তার সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মাজেদের আবেদন নাকচ করে দেন। ৮ এপ্রিল আসামির আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা দায়ের করেছিল।
কয়েক দশক পলাতক থাকার পরেও ক্যাপ্টেন মাজেদকে ৭ এপ্রিল গ্যাবটোলি থেকে ভোরের দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে। সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন,"মাজেদ বলেছিলেন যে তিনি কলকাতা থেকে ১৫ বা ১৬ মার্চ দেশে এসেছেন। তিনি দাবি করেন প্রায় ২৩ বছর ধরে সেখানে লুকিয়ে ছিলেন।" আরও পড়ুন, 'চা কাকু' মৃদুল দেবকে সাহায্য সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর, অন্য খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে পাঠালেন পাঠালেন চা
Bangladesh executes Abdul Majed at a central jail in Dhaka on Saturday midnight for his involvement in the assassination of the country’s independence leader Sheikh Mujibur Rahman in 1975, reports news agency AP pic.twitter.com/qnXOeKD6YI
— ANI (@ANI) April 11, 2020
২০০৯, ১৯ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্ট আবদুল মাজেদ এবং বঙ্গবন্ধুর ১১ জন স্ব-স্বীকৃত খুনিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিল। এর মধ্যে ২৭ জানুয়ারি, ২০১০ এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। তারা হলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মহিউদ্দিন আহমেদ। আবদুল মাজেদসহ ছয় দোষী বহাল রয়েছেন। অপর পলাতক খুনিদের লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, এসএইচবিএম নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী এবং রিসালদার মোসলেহউদ্দিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরেক নিন্দিত ঘাতক আজিজ পাশা ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যায়। ক্যাপ্টেন মাজেদকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এবং তিনজন কারাবন্দী আওয়ামী লীগ নেতার হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।