প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-র শপথগ্রহণের খুশিতে বিনামূল্য চা খাওয়াচ্ছেন বাংলার চাওয়ালা
এই সেই চা ওয়ালা। যিনি মোদির শপথের খুশিতে চা খাওয়াচ্ছেন। (Photo Credits: ANI)

শিলিগুড়ি, ৩০ মে: ঐতিহাসিক জয়ের পর ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই খুশিতে সবাইকে একেবারে বিনামূল্য চা খাওয়াচ্ছেন নন্দলাল সুনার ( Nand Lal Sunar)- নামের শিলিগুড়ির এক চাওয়ালা। শিলিগুড়ির এই চা ওয়ালা বলছেন, '' প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী আজ দ্বিতীয়বার শপথ নিচ্ছেন। ১৯৯৯ ,সালে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই বিজেপি (BJP)-আমার কাছের দল। আজ আমার খুব খুশির দিন। অনেক কষ্টের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি ফের ক্ষমতায় এসেছেন। ওনাকে মানুষ দু'হাত ভরে আশীর্বাদ দিয়েছে। আর সেই আশীর্বাদ মাথায় নিয়েই উনি আজ দিল্লিতে শপথ নেবেন। আজ দিনটা সব দিক থেকেই আমার কাছে আনন্দের। এমন একটা দিনে মন ভরে মানুষকে খাওয়াতে হয়। আমার যা সাধ্য আমি তাই খাওয়াচ্ছি।

আজ সকাল থেকেই নন্দলাল তাঁর চায়ের দোকানে বিনা খরচে চা খাওয়াচ্ছেন। এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৭টায় মোদির শপথগ্রহণের আগে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে আজ ৩১জন পুরোহিত এই উপলক্ষ্যে যজ্ঞ করেন। জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন। আরও পড়ুন-  অমিত শাহ-র মন্ত্রী হওয়ার কথা নিশ্চিত করলেন বিজেপি নেতা, বাঙালী পোশাকে বাঙলাতেই শপথ নেবেন বাংলা থেকে সাংসদ হওয়া মন্ত্রীরা

এদিকে, রাইসিনা হিল্‌সে এখন শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান ত্রুটি মুক্ত রাখতে পরিশ্রমে কোনও কসুর করছেন না রাষ্ট্রপতি ভবনের( Rastrapati Bhavan ) কর্মীরা। খাবার থেকে আপ্যায়ণ, অতিথিদের বসার আসন, সাজসজ্জা সবেতেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তূতি। দেশ বিদেশের অতিথিদের নিয়ে নয় নয় করে প্রায় ৮,০০০ জন আজ রাষ্ট্রপতি ভবনের অতিথি। এরসঙ্গে থাকবেন দেশ বিদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

সন্ধ্যে সাতটা থেকে শুরু হবে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান। একাই সাড়ে তিনশো আসন জিতে বিজেপি এখনও আরও শক্তিশালী। দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহন ( Narendra Modi Oath Taking Ceremony )অনুষ্ঠানে সেই সাফল্যে ধ্বজা ওড়াতে কোনও কসুর রাখতে চান না অমিত শাহরা। একেবারে রাজাভিষেকেরই মত হচ্ছে আয়োজন। মন্ত্রিসভার মন্ত্রী কারা হবেন এই নিয়ে দফায় দফায় অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্ব একটু বেশিই। তাই পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবার মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।