
কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: আজ সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শাহের বক্তব্য, বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য ও একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন তিনি। গুজরাতের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেন। তিনি বলেন, ‘গুজরাত মূল বাজেটের ২ শতাংশ মাত্র বরাদ্দ করে শিক্ষাখাতে। গুজরাতে অনেক শিক্ষক পেনশন পান না। সেখান থেকে লোক এসে রাজ্যের শিক্ষকদের নিয়ে কথা বলছেন।' পাশাপাশি তাঁর তীব্র আক্রমণ, "প্রদীপের নীচে অন্ধকারের সেরা উদাহরণ গুজরাত।" কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, "আপনারা মহিলাদের নিয়ে কথা বলেন, সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনেন না। বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও বলেন, বাজেটে বরাদ্দ লবডঙ্কা।"
রাজ্যের মৎস্যজীবী, শিক্ষক, নারীদের নিয়ে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি শাহ করেন তার তীব্র কটাক্ষ করেন ব্রাত্য বসু। 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্পে এবারের বাজেটে অর্থ বরাদ্দই হয়নি, অন্যদিকে রাজ্য সরকার মহিলাদের প্রকল্পে অঢেল অর্থ বরাদ্দ করেছে বলে জানান তিনি। মোট কথা বিজেপিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন নারীদের সুরক্ষার্থে রাজ্য কেন্দ্রের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে বলে বোঝাতে চান।" আরও পড়ুন, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে গুরুদেবকেই ভরসা মোদির, আওড়ালেন অখণ্ড ভারতের তত্ত্ব
আজ তাঁর বক্তব্যে বেকারত্ব, স্বাস্থ্য, পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে শুলে চড়ান। স্বাস্থ্যসাথীতে রাজ্য সরকার ১০০% মানুষকে সুবিধা দিচ্ছে, বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ তা ভাবে পরে। আর আয়ুষ্মান ভারতে রাজ্যের ৪০% মানুষ মাত্র সুবিধা পাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয় বাংলার বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলার নামে। 'দিল্লি, হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে দেখা না করে, আপনারা রাজ্যের কৃষকদের নিয়ে কথা বলছেন?' প্রশ্ন করেন তিনি। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জির তৈরি করা কৃষক বন্ধু প্রকল্প রাজ্যের সকল কৃষকদের জন্য সুবিধার্থে তৈরি। 'জুয়াড়ি ধনতন্ত্র'-র প্রসঙ্গ টেনে ক্রিকেট নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।