West Bengal Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শুক্রবারেও শিলাবৃষ্টির গ্রাসে দক্ষিণবঙ্গ, সঙ্গী দমকা হাওয়া
কলকাতার বৃষ্টির ফাইল ছবি।(Photo Credits: Wikimedia)

কলকাতা, ৬ মার্চ: বৃহস্পতিবার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ফল ফলেনি। সকালের দিকে আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামলেও সারা দিনে তেমন কিছু হয়নি। আকাশজুড়ে মেঘ রোদ্দুরের খেলা চলেছে। এমন দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল, যাক বাবা দুর্যোগ কেটেছে। তবে সেই ভাবনাকে প্রশ্রয় না দেওয়াই ভাল। কেননা শুক্রবার হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে। সারাদিনই চবে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির (Heavy rain fall) সম্ভাবনা রয়েছে। বাদ যাবে না উত্তরের পাঁচটি জেলাও। সাধারণত চৈত্র-বৈশাখের কালবৈশাখীতে বড় ভূমিকা নেয় পশ্চিমাঞ্চলের তেতে ওঠা মাটি। ফাল্গুনে তাপমাত্রা বেশি থাকে না। নেপথ্যে থাকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। এখন যেমন পর পর দু’টি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সরছে।

আবহবিদদের দাবি, বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দুর্যোগ চলছে বঙ্গে। এদের হাত ধরে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে মূল ভূখণ্ডে। অথচ বাতাসের উপরিস্তরে রয়েছে শুকনো, ঠান্ডা বাতাস। গরম, জোলো বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে তৈরি হচ্ছে উল্লম্ব মেঘ। সেটাই নামাচ্ছে বৃষ্টি। আর ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি তাপমাত্রা বেশি না-থাকায় হচ্ছে শিলাবৃষ্টিও। যা আমের মুকুলের ক্ষতির বড়সড় কারণ। অসময়ের বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতিও হচ্ছে মারাত্মকভাবে। আরও পড়ুন-  Rabindra Bharati University Basanta Utsav 2020: রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবে মহিলাদের পিঠে আবিরে আঁকা রবীন্দ্রনাথের বিকৃত গান, প্রশ্নের মুখে বাঙালির শিক্ষা সংস্কৃতি

সাধারণত এটি বৃষ্টির সময় নয়। এদিকে পর পর কয়েকদিন ধরে চলছে ঝরবৃষ্টির প্রকোপ, একেবারে কাল বৈশাখীর কায়দায় আসছে দুর্যোগ। বঙ্গবাসী রাতের দিকে মনোরম আবহাওয়া পেয়ে খুশি হলেও চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। মাঠেই পচছে আলু। আর কয়েকদিন পরে সবজি বাজারেও ছ্যাঁকা লাগবে। শুক্রবারেও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই, বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। সবমিলিয়ে এই বসন্তে চাষি ও মধ্যবিত্তের মাথায় হাত যাকে বলে।