কলকাতা, ৯ জুলাই: শহর কলকাতায় শিউড়ে ওঠার মত ধর্ষণ কাণ্ড (Rape Case)। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বছর পঞ্চাশের সেই অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষকের নাম রাজীব চক্রবর্তী। শহরের এক নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশ শ্রেমীর এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তী-র বিরুদ্ধে।
বন্দুকের নল মাথায় ঠেকিয়ে ৫০ বছরের ওই শিক্ষক কিশোরীটিকে বহুবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। গতকাল রাতে নেতাজিনগরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আজ আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্তকে। আরও পড়ুন- বাইকে চড়ে একের পর এক যৌন হেনস্তা, অবশেষে ফাঁদে অভিযুক্ত
গতকাল রাতে এই গৃহশিক্ষকের নেতাজিনগরের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর কার্তুজ মেলে। তাঁর বিরুদ্ধে বন্দুকের গুলির ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে তা তার বাড়ি থেকে কার্তুজ মেলায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয় বলে মনে করা হচ্ছে। গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে বাঁশদ্রোণী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে কলকাতার ইংরাজী মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাত থেকেই তল্লাশি চালানো হয়েছে ওই গৃহশিক্ষকের নেতাজিনগরের বাড়িতে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তী। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তে বাড়ি থেকে মিলেছে কার্তুজ। সেখানেই রাজীব চক্রবর্তী নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানাবে পুলিস। তবে শুধু ওই ছাত্রীটিকে নয়, রাজীব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি একই ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে।
নিজের বাড়িতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের প্রাইভেট টিউশন দিতেন তিনি। অভিযোগ, টিউশনের আড়ালেই চলত এই কাজ। রীতিমতো প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন ওই শিক্ষক। পুলিস সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পড়তে না এলে কার্যত ছাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে যেতেন তিনি। চলত যৌন নির্যাতন। কাজেই ভয়ের কারণেই এতদিন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি ছাত্রীরা।