Mamata Banerjee: বিপর্যয়ে পর্যাপ্ত সাহায্য করা হয়নি, ফের একবার কেন্দ্রকে তোপ মমতা ব্যানার্জির; ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ যাঁরা পাননি, ৭ দিনে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন সরকারি আধিকারিকদের
Mamata Banerjee (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ২৫ অগস্ট: মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে ফের একবার কেন্দ্রকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন,'মার্চ মাসে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা প্রচুর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি। উপার্জন নেই তবে জ্বলছি এবং দিল্লির যতটা তহবিল রাজ্যগুলিতে বিতরণ করা উচিত, তা করছে না।'

আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্লাবনের আশঙ্কা আছে। ১২ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড যুক্ত করা হয়েছে। বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল জমেছে। জল জমে থাকলে শস্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে কৃষকদের সাহায্য করতে হবে। ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে জমা জল বের করতে হবে। বাংলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ে ২৩ মার্চ। করোনার ফলে প্রচুর খরচ বেড়েছে, আয় কমেছে। পশ্চিম বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কেন? প্রতিবেশী রাজ্য থেকে করোনা আক্রান্ত এলে হিসেব রাখতে হবে। অন্য রাজ্য থেকে এলে সেটা সেই রাজ্যের হিসেবে ঢুকবে। ভিন রাজ্য থেকে এলেও, চিকিৎসা যেন করা হয়। মৃত্যুর হার কমেছে, কিন্তু অন্য রোগ হলেও করোনায় ঢুকছে।’ আরও পড়ুন, সেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন, মেট্রো? ভাবনাচিন্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

তিনি নির্দেশ দেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ যারা পাননি, ৭ দিনে দিতে হবে। এছাড়াও, পরিযায়ী শ্রমিকরা কোথায় কাজ পেয়েছে তার রিপোর্ট দিতে হবে। বাঁকুড়ায় বাংলা আবাস যোজনায় লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। সেপ্টেম্বরের শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে। ২০-২৫ তারিখ নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের জেলায় জেলায় যাব। রাস্তা থাকা সত্বেও, গ্রামীণ রাস্তা ব্যবহার করছে ভারী গাড়ি। ছোট রাস্তায় বড় গাড়িকে যেতে দেওয়া যাবে না। বড় গাড়ি যাওয়ার জন্য গ্রামীণ রাস্তা ভাঙছে।

শীঘ্রই দেউচা-পাঁচামি প্রকল্প চালু হবে বলে জানান, যার ফলে বাংলায় বিদ্যুতের অভাব হবে না। সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যের বকেয়া প্রকল্প শেষ করতে হবে। করোনাকে দেখিয়ে অন্য কাজ বন্ধ করা যাবে না। বকেয়া টাকা পাচ্ছি না বলে কাজ বন্ধ করা যাবে না, বলেও জানান।