West Bengal Assembly Elections 2021: তিন দফার মোট আসনের মধ্যে ৬৩ থেকে ৬৮টি আসন জিতবে বিজেপি: অমিত শাহ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Photo: ANI)

কলকাতা, ৯ এপ্রিল: গত তিন দফা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Elections 2021) মোট আসনের মধ্যে ৬৩ থেকে ৬৮টি আসন জিতবে বিজেপি। আজ কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে একথা বললেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, তিন দফায় বিজেপি বাংলার মানুষের অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে। সিআরপিএফ-র দিকে অভিযোগ তোলা ও ঘেরাও করার কথা বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) তুলোধোনা করেন অমিত শাহ। বলেন, হার নিশ্চিত বুঝেই একথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক নজরে অমিত শাহের বক্তব্য:

  • উনি বারবার বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ের ইশারায় সিআরপিএফ নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। উনি সহজ বিষয়টি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমি মেনে নেব যে উনি অস্থির হয়ে পড়েছেন। CRPFকে ঘেরাওয়ের কথা কেন বলছেন দিদি? হার নিশ্চিত জেনে একথা বলছেন। হার নিশ্চিত বুঝেই সিআরপিএফকে নিশানা করছেন মমতা।
  • ভোট চললে কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। সিআরপিএফ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নয়।

আরও পড়ুন: Kolkata: করোনার নাগপাশে সতর্ক রাজ্য, সরকারি অফিস গুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মীতেই চলবে কাজ

  • তিন দফায় বিজেপি বাংলার মানুষের অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে। আমাদের অনুমান অনুসারে, বিজেপি তিন দফায় ৬৩ থেকে ৬৮ টি আসন জিতবে।
  • আমাদের কার্যকর্তাদের উপর লাগাতার হামলা হয়েছে। রাজ্য সভাপতি শ্রী দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা হয়েছে এবং এই ঘটনার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতার কোনও বক্তব্য পর্যন্ত নেই। ওঁরা মৌন থেকে এই ধরনের কাজকে সমর্থন করছেন।
  • মোদিজি যে প্রকল্পগুলি গরিব মানুষের জন্য করেছেন, তা মানুষের কাছে পৌঁছাতে দেননি দিদি। সেটা আয়ুষ্মান ভারত বা কিষাণ সম্মান নিধি বা প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, যাই হোক না কেন, তার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছেন।
  • তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা। দুর্গাপুজো নিরঞ্জনের জন্য কোর্টের নির্দেশ নিতে হয়। দিদির এই তোষামোদের রাজনীতির বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ এবার রায় দেবে।
  • যেভাবে সংখ্যালঘু ভোটারদের একজোট হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিতে অনুরোধ করেছেন, তাতে প্রমাণ হয় যে ওঁর মাইনোরিটি ভোটব্যাঙ্কও এখন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
  • উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে দিদি সবথেকে বেশি অন্যায় করেছেন। সেখানকার রাজবংশী, গোর্খা আর চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য দিদি ১০ বছরেও কিছু করেননি। বাংলার প্রত্যেক পরিবারের একজন করে ব্যক্তির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার সংকল্পবদ্ধ বিজেপি।
  • তৃণমূল আমলে বাংলা সবথেকে বেশি পিছিয়ে গিয়েছে। মমতার আমলে বেড়েছে দুর্নীতি।