ক্রীড়া সাংবাদিকদের প্রধান কাজ হল খেলাধুলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি ছোট-বড় তথ্য দর্শকদের সরবরাহ করা। যেকোনও মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল ক্রীড়া সাংবাদিকতা। খেলাধুলার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমের প্রভাবও ক্রমাগত বাড়ছে, যার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাকরির সম্ভাবনাও। ডিজিটাল যুগের ক্রমবর্ধমান প্রভাব দেখে বর্তমানে এমন অনেক চ্যানেল তৈরি হচ্ছে যা বিশেষ করে খেলাধুলার জন্য নিবেদিত, অর্থাৎ এই ধরনের চ্যানেল দেখানো হয় শুধুমাত্র খেলাধুলা সম্পর্কিত খবর। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেন এবং আমেরিকায় অনেক পত্র-পত্রিকা রয়েছে যেগুলোতে প্রকাশ করা হয় শুধুমাত্র ক্রীড়া জগতের খবর।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন যখন অনেক ক্রীড়া সাংবাদিক এক জায়গায় একত্রিত হয় তখন থেকে শুরু হয় বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস। ১৯২০ সালের অলিম্পিক গেমসের সময় প্রথম আলোচনা শুরু হয় বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবসের বিষয়ে। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় প্রথমবার আলোচনা করা হয় ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এবং এর জন্য করা হয় বিশ্ব পরিকল্পনা। কয়েক বছর পর ১৯২৪ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসের সময় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক ঘোষণা করা হয় বিশ্ব ক্রীড়া দিবস।

ক্রীড়া মিডিয়ার সদস্যদের দ্বারা পালন করা হয় বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস। একজন সাংবাদিকের ওপর নির্ভর করে তিনি কী এবং কীভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরবে একটি খবর। ক্রীড়া জগতকে মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা এবং ক্রীড়া সাংবাদিকদের অবদানকে তুলে ধরা হয় এই দিন। ক্রীড়া সাংবাদিকদের উৎসাহিত করার জন্য এবং আরও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের কাজ করার জন্য পালন করা হয় বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস।