Bangladesh Cricket: ডারবানে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ ওভারে বাংলাদেশ অল আউট ৫৩ রানে, কেশবই মহারাজ, শাকিবদের কাঠগড়ায় আম্পয়াররা
Keshav Maharaj. (Photo Credits: Twitter)

ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৯ ওভারেই ৫৩ রানে অল আউট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২২০ রান হারল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে চারজন ব্যাটার কোনও রান করতে পারেননি। নাজুল হুসোন শান্তো (২৬), তাসকিন আহমেদ (১৪) আহমেদ ছাড়া আর কেউ দু অঙ্কের রান করতে পারেনি। জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশকে করতে হত ২৭৪ রান। ৩৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল মমিনল হকের নেতৃত্বে খেলা পদ্মাপাড়ের দেশ। তাসকিন শেষের দিকে কিছুটা রুখে না দিলে বাংলাদেশের রান ৫০ পাড় হত না। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র দুজন বল করেন- কেশব মহারাজ ৩২ রান দিয়ে নেন ৭টি উইকেট, আর শিমন হারমান ৯ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট।

নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে ওয়ানডে সিরিজে ঐতিহাসিক জয়ের পর, টেস্ট সিরিজের প্রথম খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২২০ রানে হেরে সিরিজে ০-১ পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ২৯৮ রান। ১৬৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ২০৪ রান। এরপর বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ৫৩ রানে অল আউট হয়। আজ, ম্যাচের শেষ দিনে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল ১১ রানে ৩ উইকেট থেকে। আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন নিউজিল্যান্ডের রস টাইলর,কী বললেন সতীর্থরা? (দেখুন ভিডিও)

মোমিনুল-রা বাকি ৭ উইকেট হারান ৪২ রানে। বৃথা গেল প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ওপেনার মেহমদুল হাসান জয় (১৩৭)-র দুরন্ত ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংস সাত উইকেট নেওয়া অবিশ্বাস্য স্পেল করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন কেশব মহারাজ। এই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট ৭ এপ্রিল থেকে পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হবে।

ডারবান টেস্টে হারের পর নিজেদের ব্যাটিং ভরাডুবি ভুলে আম্পয়ারদের কাঠগড়ায় তুলছে বাংলাদেশ শিবির। বাংলাদেশের দাবি, ম্যাচের দুই দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পয়ারদের একাধিক ভুল সিদ্ধান্তের জেরেই তাদের হারতে হল। এই টেস্টের দুই আম্পয়ার ছিলেন আইসিসি-র বর্ষসেরা মারাইস ইরাসমাস, ও এড্রিয়ান হোল্ডস্টকও। আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে আইসিসি-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজে না খেললেও বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান টুইটে আসিসি-র কাছে নিরপেক্ষ আম্পয়ার রাখার দাবি তুলেছেন। সাকিবের সাফ কথা, কোভিডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখন টেস্টে আর হোম আম্পয়াররা রাখার বদলে, নিরপেক্ষ আম্পয়ার রাখার আগের সিদ্ধান্ত ফিরুক।