Kali Puja: দেখতে দেখতে কালীপুজো (Kali Puja) একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। ভূত চতুর্দশীর পরের দিনই শক্তির দেবী কালীর আরাধনায় মেতে ওঠে চরাচর। অমানিশার অন্ধকার কাটাতে বাড়ি বাড়ি সেজে ওটে আলোক মালায়। কালীপুজো মানেই মাটির প্রদীপ। সর্ষের তেলে সলতে পাকিয়ে সারি সারি মাটির প্রদীপে ভরে ওঠে গৃহস্থের অঙ্গন, তারপর সুয্যিমামা একবার বাই বাই বললেই লক্ষ্মীমন্ত বউটির হাতে ছোঁয়ায় ঝলমলিয়ে ওঠে গোটা বাড়ি। পল্লি বাংলার এই ছবি আজ বিরল না হলেও সংখ্যায় তো কমেইছে। প্লাস্টিকের প্রদীপে জ্বলছে টুনির রোশনাই চিনা আলোয় বাজার ছেয়েছে। এখন আর মাটির প্রদীপ কজনই বা কেনেন। তবে মোদ্দাকথা হল, অন্ধকার কাটিয়ে আলোকে বরণ বাঙালির ঘরে ঘরে কালীপুজোয় সেই বরণ বেশ জমকালোই হয়।
এখনকার দিনে লাইফস্টাইল একটা বড় জায়গা নেয় তাই পুজো উপলক্ষে হোম ডেকরেশনেও আসে অদলবদল। কেউ বাড়ি রঙ করান, কেউ বা আবার বসার ঘরের ডেকোরেশনটাই বদলে দেন। সবার পক্ষে বাড়ির বহিরঙ্গ সাজিয়ে তোলা সম্ভব হয় না, অন্তত যাঁরা ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তাঁরা এক চিলতে ব্যালকনিতে যে শৌখীন গাছ রেখেছেন, তার গায়ে বর্ণময় আলোর মালা সাজিয়ে দেন। রঙিন মোমবাতি রাখেন কাচের সেন্টার টেবিলে। রেলিংয়ের ধার ঘেঁষে থাকা কর্ণার ব়্যাকের উপরে একটা মাটির পাত্র তাতে ভর্তি জল, পাত্রের ধার বরাবর প্রদীপ জ্বলছে। আর জলে ভাসছে তাজা শিউলি। আহা এ এক অন্য অনুভূতি। হল ঘরের ভিতরের আসবাব কমিয়ে ফেলে মাঝখানটা ফাঁকা করে দিন। ফুল দিয়ে সুন্দর আলপনা আঁকুন, গাঁদা ফুল হলে জমবে বাল।পাপড়ি ছিড়ে আলপনা ভরাট করে দিন।তারপর পছন্দ মতো জায়গায় বসিয়ে দিন দিয়া। কালীপুজো উপলক্ষে বাড়িতে আাসা অতিথিরা এই আলপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন, একথা হলফ করে বলতে পারি।
বড় বাড়ি হলে, রংবেরঙের টুনি লাইটে সাজিয়ে ফেলুন বাড়ি। বারান্দার গ্রিল বরাবর সার বেঁধে জ্বলতে তাকুক মোমবাতী। বাড়ির প্রবেশ দ্বারের দুপাশে থাকুক দিয়া। আর যেকানে আড্ডা জমবে সেখানে তো ডিস্কো লাইট মাস্ট। কালীপুজোর প্যান্ডেলেও দেখবেন আলোর কারিকুরি। চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের এটাই তো বাজার শুরুর সময়, সামনে যে জগদ্ধাত্রী পুজো আসছে। হাতে সময় পেলে বারাসতে গিয়ে কালীপুজো দেখে আসুন। সেখানে থিমের বৈচিত্রে কালীপুজো কলকাতার দুর্গাপুজোকে বলে বলে গোল দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। সহ্গে তো উপরি পাওনা হিসেবে আলোকসজ্জা রইলই।