শ্রীনগর, ১১ অগাস্ট: সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কাড়ার পর নানা প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে। বেশিরভাগই রাজনৈতিক দলই নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ-র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ? না, ইন্টারনেট, ফোন বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরের স্পষ্ট খবর আসছে না। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বলছে, কাশ্মীর একেবারে স্বাভাবিক আছে। বিদেশী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে অবশ্য উত্তাল কাশ্মীরের বিচ্ছিন্ন ছবিই ধরা পড়েছে। প্রশাসনের দাবি, গত এক সপ্তাহ ধরেই উপত্যকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
কংগ্রেস নেতা-সাংসদ রাহুল গান্ধীও বলছেন, কাশ্মীর থেকে অশান্তির খবর আসছে। সরকার লুকোচুরি না করে সত্যি কথাটা জানাক।এদিকে, জম্মু-কাশ্নীরের পুলিশের পক্ষে থেকে আজ জানানো হয়, রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। গত ছ'দিনে জম্মু-কাশ্মীরের কোথাও কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। আরও পড়ুন-৩৭০ ধারা রদের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন নরেন্দ্র মোদি? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি
ভূস্বর্গের পরিস্থিতি নিয়ে দেশ জোড়া উদ্বেগের মাঝে এ বার বিবৃতি দিয়ে জানাল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। একই সঙ্গে, পুলিশের তরফে সাধারণ মানুষকে 'ভুয়ো' খবরে বিশ্বাস না করার আবেদনও করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এদিকে, সংবাদসংস্থা ANI-তাদের টুইটারের শ্রীনগরের রাস্তার ছবির ভিডিও প্রকাশ করে। দেখুন সেই ভিডিও-
#WATCH SRINAGAR: Latest visuals from the city. #JammuAndKashmir pic.twitter.com/DI5noWdywI
— ANI (@ANI) August 11, 2019
গতকালই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ভিডিও-তে দেখানো হয় শ্রীনগরের এক জায়গায় হাজারখানেক জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। যদিও সেই ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের দাবি করেনি কোনও সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম উপত্যকায় গুলিচালনার খবর দেখাচ্ছে। কিন্তু, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
বিশেষ মর্যাদা কেড়ে জম্মু-কাশ্মীরকে দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে পৃথক করে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা সাময়িক কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রেশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আগে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে, পর্যটকদের রাজ্য থেকে নিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় বড় নেতাদের গৃহবন্দি করা হয়। বর্হিবেশ্বের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়।