
হায়দরাবাদ, ১৩ নভেম্বর: কয়েকদিন আগেই অফিসে ঢুকে মহিলা রাজস্ব আধিকারিককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় তেলাঙ্গানায়। মৃতর নাম বিজয়া রেড্ডি। হায়দরাবাদের (Hyderabad) কাছে তেলঙ্গানার (Telangana) আবদুল্লাপুরমেটের (Abdullapurmet) এই ঘটনায় শিউরে ওঠেন সকলে। আর এই ঘটনার পরই বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মহিলা রাজস্ব আধিকারিকদের অফিসে মরিচ স্প্রে (গুঁড়ো) (pepper sprays) সঙ্গে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে যে কোনও সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে তাঁরা নিজেদের প্রাথমিকভাবে রক্ষা করতে পারেন। তেলাঙ্গানায় অন্তত ১০০ জন রাজস্ব আধিকারিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪০০ জন মহিলা। ডেপুটি কালেক্টরদের সংগঠনের সভাপতি ভি লাচি রেড্ডি বলেন, "বিজয়ার উপর আক্রমণটি অপ্রত্যাশিত হলেও কমপক্ষে বাকি মহিলারা এখন সতর্কতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। আমরা তাঁদের আরও সতর্ক ও মরিচ গুঁড়ো সঙ্গে রাখাার পরামর্শ দিয়েছি।"
৪ নভেম্বর দুপুর দেড়টা নাগাদ অফিসে কাজ করছিলেন বছর তিরিশের বিজয়া রেড্ডি। তিনি একাই ছিলেন চেম্বারে। তখনই স্থানীয় সুরেশ নামের ওই ব্যক্তি মোটরবাইকে চড়ে আসে রাজস্ব অফিসে। তারপর অধিকারিকের ঘরে ঢুকে পেট্রোল ঢেলে লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের লেলিহান শিখা তাকেও রেহাই দেয়নি। বিজয়া প্রাণভয়ে চিৎকার শুরু করে দেন। তখন আধিকারিকের দুই অ্যাটেন্ডেন্ট এবং গাড়ির চালক তাঁকে বাঁচাতে যান চিৎকার শুনে। তাঁরাও গুরুতর জখম হন আগুনে। বিজয়া জ্বালা সহ্য করতে না পেরে চেম্বারের বাইরে বেরিয়ে এসেই পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আবার সুরেশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পালাতে গিয়ে দপ্তর থেকে খানিকটা দূরে পড়ে যায়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে পাঠিয়েছে হাসপাতালে। তার শরীরের ৫০-৬০শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আরও পড়ুন: Karnataka: বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বহাল, তবে উপ নির্বাচনে লড়তে পারবেন কর্নাটকের ১৭ বিধায়ক; নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
রাজস্ব আধিকারিকদের সংগঠনের তরফে এস রামুলু বলেন, এখন থেকে রাজস্ব আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে আসা অভিযোগকারীকে ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে না দেওয়া হোক। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি সিরসিল্লা শহরে এক ব্যক্তি পেট্রল নিয়ে রাজস্ব আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছিলেন, বাড়ি ফেরার পথে সবসময় তিনি পেট্রল নিয়ে ফেরেন। এই বিষয়ে রামুলু বলেন, "এখন লোকজনকে অফিসে ঢোকার সময় তল্লাশি করা উচিত। কেবল অভিযোগের কাগজপত্র থাকা অবস্থাতেই তাদের অফিসে ঢুকতে দেওয়া হোক। তিনি জানান, প্রকৃতপক্ষে ওই ঘটনার পরে কয়েকজন আধিকারিক কাজে যোগ দেননি। যদিও জনগণের অভিযোগ বিবেচনা করা তাঁদের কর্তব্য। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার অফিসে আসা সাধারণ নাগরিকদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যম দিয়ে তাদের যেতে হচ্ছিল।