বারানসি, ২৮ জুলাইঃ ভগবানকে তো মানুষ চোখে দেখতে পান না তাই ডাক্তারকেই ঈশ্বরের অবতার হিসাবে গণ্য করা হয়। তাঁদের উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেন প্রতিটা রোগীই। কিন্তু ঈশ্বরের দূতের ভুল চিকিৎসায় কত শত রোগীর মৃত্যুর খবর আসে নিত্য। চিকিৎসায় গাফিলতির খবর তাই নতুন কোন ঘটনা নয়। এমনই এক ঘটনা উঠে এল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বারানসি থেকে। অস্ত্রোপচার করে এক মহিলার গলব্লাডার স্টোন বাদ দিতে গিয়ে তাঁর জরায়ু বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারানসির এক বেসরকারি নার্সিং হোমের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২০ সালে বারানসির বেলা গ্রাম নিবাসী ঊষা মৌর্য পেটে ব্যাথা নিয়ে গ্রামের এক বেরসারি হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রবীণ তিওয়ারি নামে এক চিকিৎসক ওই নার্সিং হোমটি চালাতেন। একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক মহিলাকে জানান, তাঁর পিত্তথলিতে পাথর জমেছে। অস্ত্রোপচার করে পাথর বের করে দিলেই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মত ২৮ মে তাঁর গলব্লাডার স্টোনের
অস্ত্রোপচার হয়। দিন কয়েকের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়িও ফিরে আসেন ঊষাদেবী।
কিন্তু তিন বছর পর হঠাৎ ২০২৩ সালের মার্চে আবার আগের মত পেটের যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। বানিয়াপুরের এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে যান তিনি। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়। রিপোর্ট হাতে পেতেই চক্ষু চরক গাছ ঊষাদেবীর। চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, তাঁর পিত্তথলি পাথরে ভরে রয়েছে। কিন্তু তাঁর জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। শুনে তো মাথায় হাত মহিলার। এরপরেই চিকিৎসক প্রবীণ তিওয়ারির কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির জবাব চান তিনি। কিন্তু চিকিৎসক উলটে মহিলাকে হুমকি দেন। অস্ত্রোপচারে তাঁর পিত্তথিলর পাথর বাদ দেওয়ার পরিবর্তে চিকিৎসক তাঁর জরায়ু বাদ দিয়েছে বলে অভিযোগ। চিকিৎসক প্রবীণ তিওয়ারির বিরুদ্ধে থানার দারস্ত হন তিনি। ৩৩৬, ৩৩৭, ৩৩৮ এবং ৫০৪ একাধিক ধারায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।