Sarat Chandra Chattopadhyay Birth Anniversary: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনীতির সঙ্গেও ছিল গভীর যোগ
Sarat Chandra Chattopadhyay. Photo Source: Wikipedia

১৮৭৬ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর, হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে জন্মগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বনেলি স্টেটে সেটেলমেন্ট অফিসারের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু শরৎচন্দ্রের, এরপর কলকাতা হাইকোর্টে স্বল্প বেতনে অনুবাদকের কাজ পান তিনি। এই সমস্ত কাজের পাশাপাশি লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নিবিড়। ১৯২১ সাল, অসহযোগ আন্দোলনে যখন উত্তাল দেশ তখন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের আহ্বানে যোগ দেন কংগ্রেসে।

১৯২১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত একটানা ১৬ বছর হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। শরৎচন্দ্রের সঙ্গে মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগ্রামী কিংবা সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। বারীন ঘোষ, উপেন ব্যানার্জি, চারু রায়, অমরেন্দ্র চ্যাটার্জি, বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী-সহ আরও একাধিক বিপ্লবীদের সঙ্গেও পরিচয় ছিল তাঁর। তাদের সঙ্গে রীতিমত হৃদ্যতা ছিল কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের নায়ক বিপ্লবী সূর্য সেনকেও একাধিকবার আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করেছেন শরৎচন্দ্র বসু।

শরৎচন্দ্রের লেখা 'পথের দাবী' উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী সব্যসাচীর রোমাঞ্চকর কাহিনি ছিল এটি; যা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। তাঁর প্রথম উপন্যাস 'বড়দিদি' প্রকাশিত হয় ভারতী পত্রিকায়, আর মুহূর্তের মধ্যেই তা জনপ্রিয় হয়ে যায়। 'বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য', 'পরিণীতা', 'বৈকুণ্ঠের উইল', 'পল্লীসমাজ', 'দেবদাস', 'চরিত্রহীন', 'নিষ্কৃতি', 'শ্রীকান্ত', 'দত্তা', 'গৃহদাহ', ‘দেনাপাওনা’, ‘পথের দাবী’, ‘শেষ প্রশ্ন’-সহ একাধিক উপন্যাস লিখেছেন শরৎচন্দ্র। শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের এক জন অমর কাব্যশিল্পী। তাঁর উপন্যাসের মূল বিষয় পল্লীর জীবন ও সমাজ। সামাজিক বৈষম্য, কুসংস্কার ও শাস্ত্রীয় অনাচারের বিরুদ্ধে কলমে ঝড় তুলেছেন তিনি।