স্ত্রী ও ছেলেকে সিলিংফ্যানে ঝুলিয়ে খুন, কাঁদতে কাঁদতেই বাবার কীর্তির ভিডিও করল মেয়ে
প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

বেঙ্গালুরু, ৩ জুন: বছর ঘুরে দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া ফিরল দক্ষিণের হাইটেক সিটি বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। চোখের সামনেই ১২ বছরের কিশোর ছেলেকে সলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে মেরে ফেললেন বাবা। প্রতিবাদ করায় একই পদ্ধতিতে স্ত্রীকেও দুঃখ য্ন্ত্রণার থেকে অনেক দূরে পাঠিয়েদিলেন। চোখের সামনে কাঁদতে কাঁদতেই ভাইয়ের মৃত্যুদৃশ্য মোবাইল বন্দি করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে হত্যাকারীর কিশোরী কন্যা। সেই ভিডিও দেখেই শিউরে উঠল গোটা দেশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুরেশকে (Suresh Babu) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবারের এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ ওই আবাসনের বাসিন্দারা। আরও পড়ুন- নরেন্দ্র মোদি বিনামূল্যে ল্যাপটপ দিচ্ছেন, লক্ষাধিক মানুষকে ফাঁদে ফেলে শ্রীঘরে যুবক

পুলিশ জানিয়েছে,  ঋণের বোঝায় জেরবার হয়ে  সপরিবার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন  সুরেশ। প্রথমে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দেন ছেলে বরুণকে। বাবাকে থামাতে চেষ্টা করে, ১৭ বছরের মেয়ে। কিন্তু তা না করতে পেরে ঘটনাটি ভিডিও করে সেই ক্লিপ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে কিশোরী। পরে স্ত্রীকেও একই ভাবে ঝুলিয়ে দেন তিনি। ভিডিও দেখে ও কিশোরীর বয়ান শুনে সুরেশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি বেসরকারি কোম্পানির সেলস এগজিকিউটিভ পদে কাজ করত সুরেশ। তার স্ত্রী গীতা বাই কয়েকটি বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। এক সময়ে পাঁচ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছিল সে। এ ছাড়া চিট ফান্ডের ব্যবসাও করতেন তিনি,  যাতে সম্প্রতি বড় ভরাডুবি হয়। লাগাতার চলতে থাকা অভাব-অনটনের কারণেই শেষমেশ সপরিবার আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিল সুরেশ।

পুলিশ যে ভিডিওটি সুরেশের মেয়ের কাছ থেকে হাতে পেয়েছে, সেই ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে,  হাত জোড় করে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করছেন মা গীতা। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে, একটি ছোট টেবিলে উঠে জোর করে ছেলের গলায় চাদর বেঁধে ঝুলিয়ে দেয় সুরেশ। কিছুক্ষণ ছটফট করে নিথর হয়ে যায় ১২ বছরের বরুণের দেহ। এরপরে মেয়েটির হাত থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেনে গীতেদেবী, তখনও হয়তো জানতেন না তাঁর পরিণতিও ছেলের মতোই হতে চলেছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে একই পদ্ধতিতে স্ত্রীকে খুন করে সুরেশ। তারপর স্ত্রীর দেহ মেঝেতে নামিয়ে বিছানায় বসেছিল সে। মেয়ের আর্তনাদে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।