রাজস্থান, ১৮ জুলাই: উফ পুলিশ কেস শুনলেই চোখে জল আসে। থানায় যেতে হবে, সেতো গুন্ডা বদমায়েশদের আড়ত। পুলিশগুলোও তো সুবিধার নয় কেমনভাবে যেন তাকায়। রাস্তায় অসহায় কাউকে সাহায্য করার ইচ্ছে হলেও অনেকেই হাত গুটিয়ে নেন, কেননা পুলিশ এসে সেই সাহায্যকারীকেই হেনস্তা করবে। না না এটা কোনও ভুল ধারণা নয়। একেবারে খাঁটি সত্যিকথা। এদেশে দুর্ঘটনা ঘটার সময় খবর পেয়েও পুলিশ আসে না, বরং ঘাতকরা বিদায় নিলে পান চিবিয়ে লাঠি বগলে চেপে ভুঁড়ি দুলিয়ে পুলিশবাবু উদয় হন। তারপর শিকারকে সহযোগিতা করার বদলে উল্টে তাঁর উপরেই শুরু হয় অত্যাচার নানাবিধ হয়রানি। আরও পড়ুন-কী মজা ! এই গ্রামের বাসিন্দারা যখন তখন ঘুমিয়ে পড়েন
এই অভিযোগ এদেশে নতুন নয়। তারপরেও পুলিশ যদি থানায় আসা উদভ্রান্ত অভিযোগকারীর দিকে ঠান্ডা জলের গ্লাস এগিয়ে দেয়। কিম্বা বাতানুকুল ঘরে দুদণ্ড জিরিয়ে নিয়ে অভিযোগ লেখাতে বলে, তাহলে তো মনে হবে জেগে স্বপ্ন দেখছি। কারণ এমন ঘটনা স্বপ্নেও কেউ কল্পনা করবে না। তবুও এমনটা ঘটছে, দেশের ‘সবসে বেস্ট থানা’-তে। বাইরে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪৪ ডিগ্রি। কিন্তু থানার ভিতরে দিব্যি ঠাণ্ডা। গোটা থানাটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। কয়েদিদের সেলে ঢুঁ মারলে দেখা যাবে, খুনের আসামিও দিব্যি এয়ার কুলারের সামনে বসে হাওয়া খাচ্ছে। ঝকঝকে তকতকে থানার মেঝে, এক ফোটা ধুলোও পড়ে নেই কোথাও। এফআইআর লেখাতে গেলে, স্টেশন হাউস অফিসার হাসি মুখে বলেন, “অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন। একটু জিরিয়ে নিন। তারপর অভিযোগ লেখান। যাওয়ার আগে লাঞ্চটা সেরে যাবেন।”
We highly compliment SHO Sri
Parmeshwar Suthar of Kalu Police Station for following best practices that earns Best All India Police Station Award, given today by Sri @rajnathsingh at All India DGP Conference 2018.
Kudos to inspiring leadership of our DG Sri @OPGalhotra. pic.twitter.com/RAn4lUaHxv
— Rajasthan Police (@PoliceRajasthan) December 20, 2018
এমন থানা রয়েছে ভারতের মরুরাজ্য রাজস্থানে। কালু পুলিশ স্টেশন। রাজস্থানের জয়পুর থেকে ৩০০ কিলোমিটার এবং বিকানীর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে এই থানাই এখন ভারতের ‘থানা নম্বর ওয়ান।’ দেশের ১৫,৬৬৬ টি থানার মধ্যে থেকে ২০১৮ কালু থানাকে সেরা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।