বেঙ্গালুরু, ১৭ জানুয়ারি: বাথরুমের গিজার থেকে নিরিগত বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল মা ও মেয়ের। গত শনিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর গণপতিনগরে চিক্কাবানাভারা এলাকায়।মৃত দুজন হলে। মঙ্গলা (৩৫) ও গৌতমী(৭)। গৌতমী একটি বেসরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। গিজার থেকে কার্বন মনো অক্সাইড নির্গমণের জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি বিকেল চারটের পর প্রকাশ্যে এসেছে।মঙ্গলার স্বামী নরসিমহামূর্তি বাড়িওয়ালাকে ফোন করে ্লুরোধ করেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের খোঁজ নিতে। কারণ দুপুর থেকে বহুবার স্ত্রীকে ফোন করলেও ওপার থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। একটি ফ্যাব্রিকেশন ফার্মে চাকরি করেন নরসিমহামূর্তি। মেয়ে গৌতমী ও স্ত্রী মঙ্গলাকে নিয়ে গণপতিনগরের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।আরও পড়ুন- Narayan Debnath Health Update: নারায়ণ দেবনাথের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৯
সকালবেলা বাড়ি থেকে কাজ গিয়েছিলেন তিনি। বেলা একটা নাগাদ স্ত্রীর খবর নিতে ফোন করেন। সেই ফোন রিসিভ করেননি মঙ্গলা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পরপর বেশ কয়েকবার ফোন করে উত্তর না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে বিষযটি জানান। এবার বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়ার দরজায় ধাক্কা দিয়ে উত্তর পাননি। খোলা জানলার সাহায্যে বন্ধ দরজার লক খোলেন। ভিতরে ঢুকে দেখেন বন্ধ বাথরুম। ঘরে কেউ নেই। সঙ্গে সঙ্গে নরসিমহামূর্তিকে খবর দেন। পুলিশকে জানানো হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ বাথরুমের দরজা খুলে দেখে, মেঝেতে পড়ে আছে মা মেয়ের নিথর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গিজার থেকে বেরনো কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসে দম আটকে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। স্নানের সময় বাথরুমের জানলা বন্ধ ছিল।, এর জেরে বিষাক্ত গ্যাস বেরতে পারেনি। স্বল্প মূল্যের গিজার কোনওভাবে লিক হয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি, বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার আকষ্মিকতায় শোকে পাথর হয়ে গেছেন নরসিমহামূর্তি।