হায়দ্রাবাদ, ২৮ জুলাই: শীলা দীক্ষিতের পর কংগ্রেসের আরও এক বিখ্যাত নেতার জীবনাবসান হল। কংগ্রেসের অভিজ্ঞ ,গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতা জয়পাল রেড্ডি (Jaipal Reddy) প্রয়াত হলেন। ৭৭ বছর বয়েসে তাঁর জীবনাবসান হল। বেশ কয়েক মাস ধরেই শরীরটা ভাল ছিল না তাঁর। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত জয়পালের চিকিৎসা চলছিল হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে।
শনিবার গভীর রাতে হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্য হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসকে জমি পেতে অনেক সাহায্য করেছিলেন জয়পাল রেড্ডি। আরও পড়ুন-জিএসটি-র হার ৫% নামিয়ে বৈদ্যুতিক যানের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা
দেশের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে পেট্রোলিয়াম, বিজ্ঞান মন্ত্রক। নানা সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দফতর দক্ষতার সঙ্গে সামলেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। তাঁর রাজ্যে তেলেঙ্গানা জুড়ে শোকের ছায়া।
We are saddened to hear of the passing of former Union Minister Jaipal Reddy. A senior Congress leader, he served as an LS MP 5 times, an RS MP 2 times and as an MLA 4 times.
We hope his family and friends find strength in their time of grief. pic.twitter.com/3BHVc07OYA
— Congress (@INCIndia) July 28, 2019
১৯৪২ সালের ১৬ জানুয়ারি তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলায় নেরমাত্তা গ্রামে জন্ম হয় জয়পাল রেড্ডির। ছোটবেলায় পোলিওতে আক্রান্ত হন তিনি। তাই ক্রাচের সাহায্য নিয়েই হাঁটাচলা করতে হত তাঁকে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে তিনি প্রকৃত অর্থেই জনগণের নেতা হয়ে উঠেছিলেন। একটা সময় তিনিই ছিলেন দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের অনেক নীতি নির্ধারণের পিছনের প্রধান মুখ।
Deeply saddened & pained by the sudden demise of one of Telangana’s greatest sons - Shri Jaipal Reddy garu. He was a 4 term MLA, 5 term Lok Sabha MP, 2 term Rajya Sabha MP & a former Union minister. It is a huge personal loss for me & for the @INCIndia family. We will miss him. pic.twitter.com/dvozZgFhf8
— Uttam Kumar Reddy (@UttamTPCC) July 28, 2019
কেন্দ্রে যখন ইউপিএ-১ সরকার, সে সময় তিনি ছিলেন সংস্কৃতি ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী। ইউপিএ-২-এর জামানায় পেট্রোলিয়ম, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৮৪ সাল থেকে টানা কয়েক দশক তিনি সাংসদ ছিলেন। একাধিক বার তিনি কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালের সময় তিনি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।