India-China Border Stand-Off: 'বিপুল সেনা জড়ো করে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘন', চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বললেন রাজনাথ সিং
India, China Defence Ministers discuss border dispute (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ৪ সেপ্টেম্বর: সীমান্ত সংঘাত নিয়ে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গি (Gen Wei Fenghe) ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) মধ্যে বৈঠক হয়। রাশিয়ায় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে মস্কো গেছেন রাজনাথ সিং। একই কারণে রাশিয়া গেছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। গতকাল রাত সাড়ে ৯টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে ২ ঘণ্টা।

আজ ওই বৈঠকের বিষয়ে বিবৃতি দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, দুই মন্ত্রী সীমান্ত অঞ্চলের পরিস্থিতির পাশাপাশি ভারত-চিন সম্পর্কের বিষয়ে খোলামেলা ও গভীর আলোচনা করেছেন। গত কয়েকমাসে ভারত-চিন সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকাসহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ঘটনার বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছন যে বিপুল সংখ্যক সেনা জড়ো করা, তাদের আক্রমণাত্মক আচরণ এবং একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা সহ চিনা সেনাদের পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘন। রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে বলেছেন যে ভারতীয় সেনারা সীমান্ত পরিচালনা সম্পর্কে সর্বদা খুব দায়িত্বশীল পন্থা নিয়েছিল, তবে একই সঙ্গে সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তাদের সংকল্প নিয়ে সন্দেহ হওয়া উচিত নয়।" আরও পড়ুন: Donald Trump On India-China Border Dispute: 'অত্যন্ত বাজে পরিস্থিতি, ভারত-চিন বিবাদ মেটাতে মধ্যস্থতা করতে রাজি', বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন যে উভয় পক্ষের নেতাদের ঐকমত্য থেকে গাইডেন্স নেওয়া উচিত। কারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা অপরিহার্য। এবং পার্থক্যকে বিরোধে পরিণত হতে দেওয়া উচিত নয়। তাই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকল অনুসারে পংগং লেক সহ সমস্ত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও উত্তেজনা কমনোর জন্য করার ভারতের সঙ্গে কাজ করা জরুরি ছিল চিনের।"

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনাথ সিং চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি দায়িত্বশীলতার সাথে পরিচালনা করতে হবে। উভয় পক্ষের উচিত এমন আরও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় যা পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে বা সীমান্ত অঞ্চলে পরিস্থিতি ঘোরাল করে তুলতে পারে। কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে উভয় পক্ষের আলোচনা অব্যাহত রাখা উচিত। যাতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করা যায়।"