হায়দরাবাদ, ২৯ নভেম্বর: হায়দরাবাদে (Hyderabad) যুবতি পশু চিকিৎসকে (veterinary doctor) ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার। হায়দরাবাদ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। স্কুটির টায়ার ফেটে যাওয়ায় রাস্তার পাশের দোকানে যুবতি পশু চিকিৎসক ওই দু’জনের সাহায্য চেয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর সায়বারাবাদ পুলিশের অনুমান, ২২ বছর বয়সী পশু চিকিৎসককে গত কাল খুন করা হয় হায়দরাবাদের শামশাবাদের (Shamshabad) তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে। পরে দেহটি ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাড়ি থেকে বুধবার কোল্লুরু গ্রামে পশু হাসপাতালে গেছিলেন ওই যুবতি। সন্ধ্যায় সেখান থেকে ফিরে টোল প্লাজার কাছে স্কুটি দাঁড় করিয়ে ক্যাব নিয়ে গোচিবাওলিতে এক চর্ম চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান। রাত ন’টায় টোল প্লাজায় ফিরে দেখেন তাঁর স্কুটির টায়ার ফেটে গেছে। তখন দুই ট্রাকচালক তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। যুবতি যে টোল প্লাজার কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন, সেখান থেকে পুলিশ মৃতের জুতো, জামাকাপড় ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে। আরও পড়ুন: Andhra Pradesh Shocker: ক্লাসে দুষ্টুমি করার শাস্তি, বেঞ্চের সঙ্গে ২ পড়ুয়াকে বেঁধে রাখলেন প্রধান শিক্ষক
টোল প্লাজার কাছে একটি টায়ার সারানোর দোকানের মালিক পুলিশকে জানিয়েছেন, গত কাল সকাল সাড়ে ন’টা/দশটা নাগাদ ওই যুবতি তাঁর অচল স্কুটি নিয়ে আসেন দোকানে। পৌনে দশটা নাগাদ ওই যুবতিকে ফোনে তাঁর বোনের সঙ্গে কথা বলতে শুনেছিলেন টায়ারের দোকানের মালিক। এও শুনেছিলেন, যুবতি তাঁর বোনকে বলছেন, স্কুটির টায়ার ফেটে গেছে। সেটা সারানোর জন্য স্কুটিকে একটু দূরে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুই ট্রাকচালক তাঁর আশপাশে ঘুরঘুর করছে বলেও যুবতি বোনকে ফোনে বলেন।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যুবতিকে তাঁর বোন পরামর্শ দিয়েছিলেন স্কুটি ছেড়ে টোল প্লাজার কাছে গিয়ে একটি ক্যাব ভাড়া করে বাড়ি ফিরে আসতে। পরে যখন বোন তাঁকে আবার ফোন করেন, তখন তাঁর মোবাইলটি বন্ধ করা ছিল। বেলা ১১টা নাগাদ পরিবারের তরফে থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়।