Assam NRC Data: প্রাক্তন অসম এনআরসি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এফআইআর
প্রতীক হাজেলা (Photo Credit: Twitter)

গুয়াহাটি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: এনআরসির (NRC) যাবতীয় তথ্য হওয়া হয়ে গেছিল জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকের ওয়েবসাইট (NRC Website) থেকে। গত ২০১৯-র অগাস্ট মাসে প্রকাশিত হয় অসমের (Assam) চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা। ক্লাউডে প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্যই এই সমস্যা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছিল এই যাবতীয় তথ্য জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। তাই ওই ওয়েবসাইটে সব তথ্য দেওয়া ছিল। কিন্তু সেই তথ্যই হয় গেল হাওয়া। এরফলে সরকারের কাজের ভূমিকা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এদিকে এই ঘটনার মধ্যেই অসমের এনআরসি কোঅর্ডিনেটর অফিস আগের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছ। অভিযোগে বলা হয়েছে, দায়িত্ব ছাড়ার আগে তারা সেন্ট্রাল ডেটা অ্যাক্সেসের পাসওয়ার্ড হস্তান্তর করেনি।

তবে আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে প্রাক্তন এনআরসি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার (Prateek Hajela) বিরুদ্ধে। অসম পাবলিক ওয়ার্কস (Assam Public Works) নামে একটি এনজিও এফআইআর করেছে। বছরের অগাস্টে প্রকাশিত এনআরসিৃর চূড়ান্ত তালিকায় গরমিল করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অসম পাবলিক ওয়ার্কসের সভাপতি অভিজিৎ শর্মা বলেন, আমরা সিআইডি-র কাছে আবেদন জানিয়েছি যাতে সরকারি নথিতে গরমিল করার কারণে হাজেলার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। এটা সাইবার ক্রাইম।" আরও পড়ুন: Assam NRC Data: সুরক্ষিতই আছে এনআরসির যাবতীয় তথ্য, দ্রুত পুনরুদ্ধার করার নিদান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দফতরের

এদিকে তথ্য গায়েবের খবর সমানে আসতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে,"এনআরসির তথ্য নিরাপদে আছে। ক্লাউড ভিজিবিলিটিতে সমস্যা হচ্ছে। শীঘ্রই এর সমাধান করা হচ্ছে।" এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইটি ফার্ম উইপ্রোর সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল তা পুনর্নবীকরণ করানো হয়নি। গত ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল এর চুক্তি। বৈধতা ফুরিয়ে যাওয়ায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে সব তথ্য অফলাইন হয়ে গেছে।

৩১ অগাস্ট অসম এনআরসিতে ভারতীয় নাগরিকদের নির্বাসন এবং অন্তর্ভুক্তির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর www.nrcassam.nic.in-আপলোড করা হয়েছিল। প্রতীক হাজেলা কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। তিনি অক্টোবর মাসে বদলি হয়ে যান। ফলে ক্লাউড পরিষেবা সাবস্ক্রিপশন করতে দেরি হয়ে যায়। তবে এগুলি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। বিরোধীরা এই ঘটনাকে চরম গাফিলতি বলছে। অসম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকীয়া ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জরুরিভাবে দেখার জন্য অনুরোধ জানান।