Lottery: ঋণখেলাপির নোটিস পেয়েই বদলাল ভাগ্য! ৭০ লক্ষের লটারি পেলেন মাছ বিক্রেতা
Picture courtesy: onmanorama.com

সাস্থমকোট্টা (কেরল): বাড়ি তৈরির জন্য ব্যাঙ্ক (Bank) থেকে ধার নেওয়া টাকা মেটাতে পারেননি ঠিক সময়ে। তাই কেরলের মাইনাগাপল্লীর ইডাভানাসেরির বাসিন্দা পুকুঞ্জুকে (Pookunju) ঋণখেলাপির নোটিস (attachment notice) পাঠিয়ে ছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। আর তার ঠিক তিন ঘণ্টা পরে বদলে গেল ওই মাছ বিক্রেতা পুরো জীবন! ৭০ লক্ষ টাকার লটারি (lottery) পেয়ে নিমিষে হয়ে গেলেন লাখপতি।

কেরলের সংবাদমাধ্যম মনোরমা অনলাইনে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, ইডাভানাসেরির (Edavanassery) বাসিন্দা পুকুঞ্জু পেশায় একজন মাছ বিক্রেতা। উত্তর মাইনাগাপল্লীর (Mynagappally) বিভিন্ন জায়গায় নিজের স্কুটার নিয়ে মাছ (Fish) বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। আর্থিক সমস্যা যদিও লেগেই থাকে তাঁর জীবনে। এভাবেই স্ত্রী মুমতাজ আর দুই ছেলেমেয়ে মুনির আর মুসিনাকে নিয়ে অতিকষ্টে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি।

কিছুদিন আগে বাড়ি তৈরির জন্য স্থানীয় কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক থেকে ৯ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সময়মতো শোধ করতে পারেননি সেই টাকা। তাই বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে ঋণখেলাপির নোটিস পাঠায় ব্যাঙ্ক। ওই নোটিসে খুব কম সময়ের মধ্যে সুদে-আসলে ১২ লক্ষ টাকা শোধ করতে বলা হয়েছিল পুকুঞ্জকে। এরপরই চিন্তা পড়ে যান তিনি। অত টাকা কীভাবে শোধ করবেন তা ভেবেই পাচ্ছিলেন না। টাকা না শোধ করতে পারলে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় উদ্বাস্তুর মতো বসবাস করতে হবে বলেও ভেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু, তিনঘণ্টা কাটার পরেই বদলে গেল পুরো জীবন। দুপুর তিনটের সময় খবর পেলেন অক্ষয় লটারিতে ৭০ লক্ষ টাকা পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

পরিবারসূত্রে জানা গেছে, পুকুঞ্জুর বাবা ইউসুফ কুঞ্জু প্রতিদিন লটারি কাটলেও তিনি কোনওদিন কাটেননি। কিন্তু, কী খেয়াল হওয়ায় আগের দিন স্থানীয় প্লামউট্টিল বাজারের গোপালা পিল্লাই নামে এক বিক্রেতার কাছ থেকে লটারি কেটেছিলেন পুকুঞ্জু। আর তাতেই বদলে গেল তাঁর ভাগ্য।